নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ রবিবার বাংলা একাডেমির ৬২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ভাষা আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৫৫ সালে ৩ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় বাঙালীর মেধা ও মননের প্রতীক এ প্রতিষ্ঠানটি। ওইদিন ‘বর্ধমান হাউস’এর সম্মুখস্থ বটতলায় পূর্ববাংলার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী আবু হোসেন সরকার এ প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পূর্ববাংলার তদানীন্তন শিক্ষামন্ত্রী আশরাফ উদ্দীন আহমদ চৌধুরীও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
দিবসটি যথাযথভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে একাডেমি বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। কর্মসূচির মধ্যে সকাল ১০টায় মহান ভাষা আন্দোলনের অমর শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি এবং বিকেল ৪টায় একাডেমির রবীন্দ্রচত্বরে বক্তৃতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। স্বাগত বক্তৃতা দেবেন একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বক্তৃতা প্রদান করবেন অধ্যাপক গোলাম মুরশিদ।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান জানান, একাডেমির লক্ষ্য হলো দেশজ সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সমকালীন শিল্প ও সাহিত্য সংরক্ষণ এবং গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে জাতির মানসিক বিকাশ ও উৎকর্ষ সাধন। এ ক্ষেত্রে একাডেমি অনেকটাই সফল বলেও তিনি জানান।
একাডেমির পরিচালক সরকার আমীন জানান, ১৯৭৮ সাল থেকে একাডেমি প্রাঙ্গণে নিয়মিত গ্রন্থমেলা হয়ে আসছে। পরবর্তীতে অমর একুশে গ্রন্থমেলা জাতীয় আবেগ ও সৃজনশীল উদ্ভাবনার সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক মেলায় পরিণত হয়েছে। বাংলা একাডেমি বিভিন্ন পুরস্কারের মাধ্যমে গবেষক ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করা হয়। পুরস্কারগুলো হলো- বাংলা একাডেমি সাহিত্যে পুরস্কার, রবীন্দ্র পুরস্কার, সরদার জয়েনউদ্দীন স্মৃতি পুরস্কার, চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার, পলান সরকার স্মৃতি পুরস্কার ও মোহাম্মদ নুরুল হক গ্রন্থ সুহৃদ পুরস্কার।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি