আশিকুর রহমান ব্রাক্ষনবাড়ীয়া (প্রতিনিধি)
ব্রাক্ষনবাড়ীয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ১৩৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪১টিতে প্রধান শিক্ষক ও ৮২ টিতে সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। তা ছাড়াও মাতৃত্বকালীন ছুটি ও ট্রেনিংয়ে রয়েছেন আরও ৪৪ জন শিক্ষক। শিক্ষক সংকটের কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। অনেক বিদ্যালয়ে মাত্র দু’জন শিক্ষক দিয়ে চলছে পাঠদান। অনেক বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা নিয়মিত না যাওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। খোন নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ১৩৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯০৩ টি পদের বিপরীতে ৪১ জন প্রধান শিক্ষক ও ৮২ জন সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ ও পদোন্নতি না থাকায়, অনেক শিক্ষক বদলি ও অবসরে চলে যাওয়ায় প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। অনেক বিদ্যালয়ে মাত্র দু’জন শিক্ষক দিয়ে চলছে পাঠদান। প্রধান শিক্ষক দাফতরিক কাজে ব্যস্ত থাকলে কিংবা উপজেলা সদরে মিটিংয়ে গেলে পাঠদান বন্ধ থাকছে। এ অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে চললেও নজর নেই কর্তাদের। উল্টো কিছুদিন আগে নিয়োগ পাওয়া পুলের শিক্ষকরা নিয়োগ পেলেও শিক্ষা কর্মকর্তা ও অফিসকে ম্যানেজ করে অন্য উপজেলায় বদলি হয়ে গেছেন। ভেলানগর রাবেয়া সিরাজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দু’জন শিক্ষক বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন। নিজকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে দু’জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। এ বিষয়ে নিজকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহাদাত হোসেন জানান, ‘আমার বিদ্যালয়ে ৩৩৩ শিক্ষার্থীর বিপরীতে আমরা দু’জন কর্মরত রয়েছি। ৬টি পদের মধ্যে দুটি শূন্য, একজন ট্রেনিংয়ে, একজন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন। শিক্ষক সংকটের কারণে পাঠদান মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে।’ এ ব্যাপারে মুন্সীনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, ‘আমাদের স্কুলে ৩০৪ ছাত্রছাত্রী রয়েছে। এখানে ৫টি পদ থাকলেও আমিসহ মাত্র দু’জন শিক্ষক আছি।’ বাঞ্ছারামপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) মো. নৌসাদ মাহমুদ বলেন, ‘শিক্ষক সংকটের কারণে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া, আশা করি অচিরেই শিক্ষক সংকট দূর হবে।’ এ বিষয়ে ভুরভুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক বলেন, আমার স্কুলের ৭টি পদ থাকলেও বর্তমানে ৪ জন কর্মরত রয়েছে। এর মধ্যে একজন ট্রেনিংয়ে আছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানান, ‘বাঞ্ছারামপুরে প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে গুণগতমান বৃদ্ধি করতে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সব শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের চেষ্টা চলছে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ