স্পোর্টস ডেস্ক:
১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে সীমানা রেখায় অসাধারণভাবে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের ক্যাচটা ধরেছিলেন নাজমুল ইসলাম অপু। জয়ের একটা আশা জেগে উঠেছিল রংপুরের সমর্থকদের মনে। জয়ের জন্য তখনো আট রান দরকার কুমিল্লার। ওভারের শেষ বলে বিশাল এক ছয় মেরে সকল উত্তেজনায় পানি ঢেলে দেন পাকিস্তানি বোলার হাসান আলী। শেষ ওভারে জয়ের আনুষ্ঠানিকতাটুকু সারেন মারলন স্যামুয়েলস। রংপুর রাইডার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান দখলে রাখল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আর ম্যাচটা হেরে শেষ চারে ওঠার রাস্তাটা পিচ্ছিল করে ফেলল রংপুর।
রংপুরের দেয়া ৯৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়েছিল কুমিল্লার। উদ্বোধনী জুটিতে তামিম ইকবাল ও লিটন দাস মিলে তুলে নেন ২২ রান। চতুর্থ ওভারে প্রথম উইকেটের দেখা পায় রংপুর। ৩ রান করা লিটন দাসকে ফেরান মাশরাফি বিন মুর্তজা। দলীয় ৩৫ রানে তামিমকে ফিরিয়ে দেন সোহাগ গাজী। বাউন্ডারিতে দারুণ ক্যাচ ধরেন নাহিদুল।
দলীয় ৪৭ রানে জস বাটলারকে ফিরিয়ে রংপুরকে খেলায় ফেরান নাজমুল ইসলাম অপু। এরপর ইমরুল কায়েস ও শোয়েব মালিকের ব্যাটে ভালোভাবেই এগোচ্ছিল কুমিল্লা। ৭১ রানে ইমরুলকে ফিরিয়ে আবার খেলায় ফেরেন মাশরাফিরা। তিন রানের ব্যবধানে শোয়েব মালিককে ফিরিয়ে কুমিল্লাকে চেয়ে ধরে রংপুর।
তবে রংপুরের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ান মারলন স্যামুয়েলস। এই ব্যাটসম্যানের ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
এর আগে মেহেদী হাসান ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বোলিং তোপে পড়ে মাত্র ৯৭ রানে অলআউট হয় রংপুর রাইডার্স। মেহেদী হাসান চারটি ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন নেন তিনটি উইকেট। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রংপুরের এমন হতশ্রী ব্যাটিংয়ে বেশ হতাশ সমর্থরা। আজকের ম্যাচটি জেতা মাশরাফির দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই ম্যাচে জিতলে শেষ চারে ওঠার পথটা অনেকটাই সহজ হয়ে যেত রংপুরের জন্য।
ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নামে কুমিল্লা। ব্যাটিং করতে নেমে ৮ রানের মধ্যেই দুই ওপেনার গেইল ও জিয়াউর রহমানকে হারায় রংপুর। আজ রানের খাতা খুলতেই পারেননি গেইল। দলীয় ৩২ রানে মোহাম্মদ মিঠুন আউট হলে বিপদ বাড়ে দলটির। ৭৪ রানের মধ্যে ম্যাককালাম, কাপুগেদারা, রবি বোপারা ও মাশরাফিকে হারিয়ে পুরোপুরি খাদের কিনারে পড়ে যায় রংপুর। শেষ পর্যন্ত অলআউট হওয়ার আগে মাত্র ৯৭ রানই করতে সমর্থ হয় দলটি। সর্বোচ্চ ২৪ রান করেছেন ম্যাককালাম।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ