আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ নিয়ে মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে (এফবিআই) মিথ্যা তথ্য দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের। গত জানুয়ারিতে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগ নিয়ে আলোচনা চলছে। ফ্লিনের এই স্বীকারোক্তি স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুলারের নেতৃত্বে চলমান তদন্তে বড় অগ্রগতি।
বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে এবিসি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পই তাঁকে রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছিলেন বলে ফ্লিন আদালতে স্বীকারোক্তি দিতে চলেছেন। রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে এবিসির ওই তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। তবে খবরটি প্রকাশের পর যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারে সূচক পতন হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে।
শুক্রবার ওয়াশিংটনের একটি আদালতে হাজির হন ফ্লিন। একটি আদালতের কাছে তিনি জ্ঞাতসারে এফবিআইয়ের কাছে মিথ্যা, কাল্পনিক, প্রতারণামূলক বিবৃতি দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্লিন দোষ স্বীকার করতে চান কিনা—আদালত তা তাঁর কাছে জানতে চান। এ সময় ফ্লিন বলেন, ‘হ্যা’। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার শিবিরের শীর্ষস্থানীয়দের অন্যতম ছিলেন ফ্লিন। ২০১৬ সালের ওই নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্তের মধ্যে এফবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার পর গত ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি।
বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে এবিসি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পই তাঁকে রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছিলেন বলে ফ্লিন আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করার বিষয়ে প্রাথমিকভাবে রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছিলেন ট্রাম্প। ফ্লিনকে কখন ট্রাম্প যোগাযোগ করতে বলেছিলেন এবং ওই নির্দেশনা অবৈধ কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার নয়।
ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের আগে রাশিয়ার তৎকালীন রাষ্ট্রদূত সের্গেই কিসলিয়াকের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এফবিআই। এর জের ধরে গত ফেব্রুয়ারিতে পদত্যাগ করেন ফ্লিন।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি