আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, গণহত্যা ও অন্যান্য অপরাধ ইস্যুতে আগামী ৫ ডিসেম্বর আবারো বিশেষ অধিবেশনে বসছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক পরিষদ (ইউএনএইচআরসি)। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘের বিভিন্ন সূত্র। তবে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক পরিষদের মুখপাত্র রোল্যান্দো গোমেজ ওই অধিবেশনের তারিখের বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে পারেন নি। তিনি বলেছেন, মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতির দিকে দৃষ্টি দেয়ার জন্য একটি বিশেষ অধিবেশন আহ্বানের চেষ্টা চলছে। এমন অধিবেশনের জন্য পরিষদের ৪৭ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে কমপক্ষে ১৬টি রাষ্ট্রের অনুরোধ আসতে হয়।
বিশেষ এ অধিবেশনের পক্ষে থাকতে পারে বাংলাদেশ ও মুসলিমপ্রধান আরো কিছু দেশ। এর আগে মার্চে একবার এ পরিষদ রোহিঙ্গা ইস্যুতে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম বা সত্য অনুসন্ধানী দল গঠন করেছে। গত মাসে এ দলটির প্রথম মিশন গিয়েছিল বাংলাদেশে। তারপর তারা তাদের অনুসন্ধান রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছেন তারা সাক্ষ্য দিয়েছেন। বলেছেন, তাদের বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে হত্যাকান্ড, নির্যাতন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। ২৫ শে আগস্ট সহিংসতা শুরুর পর রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো হয় অকথ্য নির্যাতন। একে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার জায়েদ রা’দ আল হোসেন জাতি নিধন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
সম্প্রতি এ অভিযোগের পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। তবে হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন ও জোর করে বাস্তুচ্যুত করার অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। গত সপ্তাহে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি একটি খোলা চিঠি লিখেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও অন্যান্য মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপ। তাতে বলা হয়েছে, সুচিন্তিত পদক্ষেপ নিতে অবশ্যই একটি বিশেষ অধিবেশন হওয়া উচিত। নিশ্চিত করা উচিত পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ ও নজরদারি। ওদিকে এক সপ্তাহের সফরে সোমবার মিয়ানমার পৌঁছেছেন পোপ ফ্রাঁসিস।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি