আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মিয়ানমারের সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নের ঘটনায় নিশ্চুপ থাকায় দেশটির ডি ফ্যাক্টর নেত্রী অং সান সু চিকে দেওয়া ‘ফ্রিডম অব দ্য সিটি’ খেতাব চূড়ান্তভাবে কেড়ে নিয়েছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড সিটি কর্তৃপক্ষ। খেতাবটি কেড়ে নেওয়ার বিষয়ে গত অক্টোবরে অক্সফোর্ড সিটি কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক ভোটাভুটিতে যায়, যার ফলাফল সোমবার প্রকাশিত হয়েছে। খবর: দ্য গার্ডিয়ান ও বিবিসি।
কারণ হিসেবে মেরি ক্লার্কসন সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নে সু চির কোনো ধরনের পদক্ষেপ না নেওয়ার কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘বৈচিত্র্য এবং মানবিক হিসেবে অক্সফোর্ডের দীর্ঘ ঐহিত্য রয়েছে। নির্যাতনের ঘটনায় তিনি (সু চি) চোখ বুঁজে থেকে আমাদের সেই এতিহ্য কলঙ্কিত করেছেন।’
মেরি ক্লার্কসন আরও বলেন, ‘আশা করি, আমাদের এই ছোট্ট পদক্ষেপ রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার ফেরাতে অন্যদেরকেও উৎসাহ যোগাবে।’
অক্সফোর্ট সিটি এমন সময় এই পদক্ষেপ নিল, যখন খ্রিস্টান ধর্মের গুরু পোপ ফ্রান্সিস বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ট মিয়ানমার সফরে রয়েছেন।
মিয়ানমার থেকে পোপ বাংলাদেশ সফরে যাবেন। যেখানে গত ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের প্রায় সাড়ে ৬ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই এবং নির্যাতন ভোগ করায় ১৯৯৭ সালে অক্সফোর্ড সিটি কর্তৃপক্ষ সু চিকে এই খেতাব দিয়েছিল। এরপর ২০১২ সালে নরওয়ে থেকে নোবেল পুরস্কার নেওয়ার সময় অক্সফোর্ডে গিয়ে এটি গ্রহণ করেছিলেন সু চি।
এর আগে একই ইস্যুতে সেন্ট হিউজ কলেজ নোবেল বিজয়ী নেত্রী সু চির ছবি সরিয়ে ফেলে। আর যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম ট্রেড ইউনিয়ন ইউনিসন তাকে দেওয়া ‘সম্মানসূচক সদস্য পদ’ স্থগিত করে।
এছাড়া যুক্তরাজ্যের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটি ১৯৯৮ সালে সু চিকে দেওয়া সম্মানসূচক ডিগ্রি বাতিল বা স্থগিত করার বিষয়টি বিবেচনা করছে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

