২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৮:৪৬

ইন্দোনেশিয়ায় অগ্ন্যুৎপাত: সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইন্দোনেশিয়ার বালি’তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। মাউন্ট আগুঙ্গ থেকে ভয়াবহ আকারে অগ্ন্যুৎপাতের আশঙ্কায় আশপাশের সব মানুষ সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে বিমানবন্দর। আজ সোমবার এ সতর্কতা সর্বোচ্চ চার মাত্রায় উন্নীত করা হয়েছে। খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় বন্ধ রয়েছে বালির বিমানবন্দর। এতে বিঘ্নিত হয়েছে ৪৪৫টি ফ্লাইট। আটকরা পড়েছেন প্রায় ৫৯ হাজার বিমান আরোহী। টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা যাচ্ছে পাহাড়টির বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ঠান্ডা লাভা বেয়ে পড়ছে। তাতে রয়েছে কাদা। বিকট আকার নিয়ে তা ধেয়ে নামছে লোকালয়ের দিকে। এতে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, সেতু ঢাকা পড়তে পারে অথবা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক এজেন্সি বিএনপিবি এক বিবৃতিতে বলেছে, লাভা উদগীরনের সময় অনেক সময় বিস্ফোরণের মতো ঘটনা ঘটে। তখন ভয়াবহ লাভার মেঘে ঢেকে যায় চারদিক। আবার কখনো ছোটখাট বিস্ফোরণের মতোও হয়। আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ থেকে ১২ কিলোমিটার দূর থেকেও তা শোনা যায়। এতে বলা হয়, তীব্র আকারে লাভার উদগীরণ হতে পারে অবিলম্বে। তাই স্থানীয়দের দ্রুততম সময়ের মধ্যে ওই ‘ডেঞ্জার জোন’ থেকে সরে যেতে বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, মাউন্ট আগুঙ্গের ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে যেসব এলাকা আছে তা হলো ডেঞ্জার জোন। পাহাড়টির আগ্নেয়গিরি থেকে যে লাভা উদগীরণ হচ্ছে তা বালি’র আকাশে ৩ হাজার মিটারেরও বেশি উচ্চতায় উঠে গেছে। এর আগে ১৯৬৩ সালে এমন অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছিল। তাতে কমপক্ষে এক হাজার মানুষ মারা যান। অনেক গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। কিন্তু সর্বশেষ এ অবস্থায় আটকে পড়া মানুষদের মধ্যে বেশির ভাগই বিদেশী পর্যটক। তারা বালিতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সার্ফিংয়ের জন্য বালির রয়েছে খ্যাতি। আছে চমৎকার সৈকত, মসজিদ, মন্দির।
ফলে শুধু গত বছরেই এই দ্বীপটি প্রায় ৫০ লাখ পর্যটককে আকৃষ্ট করেছিল। এ বছর সেপ্টেম্বর থেকে এখানে পর্যটন রমরমা হয়ে উঠেছে। ওদিকে অস্টেলিয়ার ডারউইনের কাছে ভলকানিক অ্যাশ এডভাইজরি সেন্টারের মতে, ডেনপাসার বিমানবন্দরে লাভা এসে পড়া নিশ্চিত হওয়া গেছে। বিমান চলাচল করে ৩০ হাজার ফুট লেভেলে। কিন্তু লাভার ধোয়া পৌঁছে গেছে তার ৩০০ লেভেলে। বালিতে আই গাসটি নগুরাহ রাই বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়েছে ২৪ ঘন্টারও বেশি সময়। ওদিকে বিকল্প ৫টি বিমানবন্দরকে প্রস্তুত করা হয়েছে বালিতে আসা বিমানের অবতরণের জন্য।

দৈনিকদেশজনতা/ আই সি

প্রকাশ :নভেম্বর ২৭, ২০১৭ ১১:২৩ পূর্বাহ্ণ