স্পোর্টস ডেস্ক:
এইতো দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের শেষ ম্যাচ। কিলার মিলার বিপক্ষে বল করছিলেন বাংলাদেশের তরুণ পেসার সাইফউদ্দিন। প্রথম পাঁচ বলে দিলেন টানা পাঁচটি ছক্কা। তখন পরিসংখ্যান ঘেঁটে সবাই বের করছিলেন স্টুয়ার্ট ব্রডের রেকর্ডের কথা। তবে শেষ বলে সিঙ্গেল দিয়ে রক্ষা পেয়েছিলেন সাইফউদ্দিন। লজ্জার ইতিহাসে নাম লেখানো হয়নি তার। তবে শনিবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সর্বোচ্চ খরুচে বোলারের তালিকার শীর্ষেই নাম লিখিয়েছেন ২০ বছরের এ তরুণ।
রাজশাহী কিংসের ইনিংসের শেষ ওভারে বোলিং করতে এসেছিলেন সাইফউদ্দিন। তখন দলের সংগ্রহ ১৫৩ রান। ১৭০ এর মতো দলীয় স্কোর হবে ভেবেছিলেন সবাই। কিন্তু উইকেটে রাজশাহীর অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি হয়তো ভেবেছিলেন ভিন্ন কথা। এ ম্যাচে হারলে যে দলের শেষ চারের খেলার স্বপ্ন দেখাই যে কঠিন হয়ে যাবে। দায়িত্বটা তাই নিজেই নিলেন।
সে ওভারে চারটি ছক্কা মারলেন স্যামি। সঙ্গে একটি চার। মাঝে একবার ২ রানও নিলেন। আর এর মাঝে দুটি বাউন্সার দিতে গিয়ে দুইবার ওয়াইড দিলেন সাইফউদ্দিন। সব মিলিয়ে ৩২। হয়ে গেল বিপিএলের নতুন রেকর্ড। আর তাতে কিছুটা স্বস্তি পেলেন এবারের আসরে দল না পাওয়া নাজমূল হক মিলন। কারণ ২০১৩ সালে সিলেট রয়ালসের হয়ে ঢাকা গ্লাডিয়েটরের বিপক্ষে দিয়েছিলেন ২৯ রান। এতদিন এটাই ছিল সর্বোচ্চ খরুচে ওভারের রেকর্ড। এদিন এটা একান্তই নিজের করে নেন সাইফউদ্দিন।
মিলনের তবু সান্ত্বনা ছিল। কারণ তিনি পড়েছিলেন ক্যারিবিয়ান দৈত্য ক্রিস গেইলের সামনে। আর সে সময়ে দুর্দান্ত ফর্মেও ছিলেন গেইল। প্রথম বল ওয়াইড দিয়ে শুরু করেছিলেন মিলন। পরের চার বলে টানা চারটি চার। এর মাঝে একটি নো বল। ছয় ছক্কার সঙ্গে সাত ছক্কাও দেখেছিলেন অনেকে। কিন্তু পরে দারুণভাবে ফিরে আসেন তিনি। শেষ তিন বলে দেন ৩ রান। বিপিএলের ইতিহাসে এরপরের খরচের রেকর্ডটা অবশ্য ভাগ করে নিয়েছেন ২ জন। স্কট স্টাইরিস ও রায়ান টেন ডেসকাটে।
এদিন ৪ ওভার বল করে ৫০ রান দিয়েছেন সাইফউদ্দিন। বিপিএলের ইতিহাসে এটা ১০তম বাজে বোলিং ফিগার। ৪ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে শীর্ষে আছেন শ্রীলঙ্কান দিলশান মুনাবিরা। সাইফউদ্দিনের মতো ৪ ওভারে ৫০ রান দিয়েছেন আরও ৪ জন। পিটার ট্রেগো, আজহার মাহমুদ, মুরাদ খান ও নাসির হোসেন। তবে এদের মধ্যে সাইফউদ্দিনই পেয়েছেন বেশি উইকেট। এদিন ৩টি উইকেট নিয়েছেন এ নবীন।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ