আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রোহিঙ্গা মুসলমান সংখ্যালঘুদের ওপর মিয়ানমার সরকারের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে অবস্থানের কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। এক বিবৃতিতে তিনি একে ‘জাতিগত নিধন’ হিসেবে অভিহিত করেন। সিএনএন’র সংবাদ। রাখাইনে রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর ওপর মায়ানমারের সামরিক কর্মকাণ্ডের বর্ণনা দেয়ার সময় এর আগে টিলারসন জাতিগত নিধনের বিষয়টি স্বীকার না করলেও বলেছিলেন, এ ব্যাপারে তিনি “খুবই উদ্বিগ্ন”।
গত ১৫ নভেম্বর মিয়ানমারে এক সরকারি সফর শেষে তিনি বলেছিলেন, “আমরা জানি রাখাইন রাজ্যে যা ঘটেছে তাতে মানবতা বিরোধী অপরাধ সংগঠনের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা গেছে”।
সে সময় তিনি এটিকে জাতিগত নিধন হিসেবে দেখতে চাননি। কিন্তু বুধবার দ্ব্যর্থহীনভাবেভাবে তিনি উচ্চারণ করলেন, রোহিঙ্গা যোদ্ধাদের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সঙ্ঘাতের সূত্রপাতের ফলে এ ধরণের অভিযান কোনভাবেই সমর্থণ করা যায় না। তিনি মিয়ানমারের সামরিক ও আইন শৃংখলা বাহিনী, স্থানীয় মহল দ্বারা এ অপরাধ সংগঠিত হয়েছে বলে উল্লেখ করে বলেন, ‘বিদ্যমান পরিস্থিতি ও তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণের পর এটি স্পষ্ট যে, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন চলছে।’
উল্লেখ্য, মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক পরিস্থিতির সৃষ্টিতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যার কারণে রোহিঙ্গাদের প্রতি সহিংসতা বন্ধে সরকারি পদক্ষেপ বন্ধে আহবান জানিয়ে আসছিল দেশটি। কিন্তু এ প্রথম সরকারে উচ্চপর্যায় থেকে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সরকার ও সামরিক বাহিনীর অভিযানকে জাতিগত নিধন হিসেবে উল্লেখ করা হল।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ