নিজস্ব প্রতিবেদক:
কার্তিকের কুয়াশায় শীত একটু নাড়া দিয়েই যাই যাই করছিল। ভাবখানা—একটু পরেই আসি। ব্যস, কুসুম কুসুম গরম এসে জায়গা দখল। অঘ্রাণ আসতেই চারদিকে হাহাকার—শীত কই, শীত কই? মেঘ বলল, শীতের জন্য তড়পাচ্ছ? দাঁড়াও দেখাচ্ছি! নামিয়ে দিল গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। তারপর গরম আর শীতের কাঁথা–টানাটানি। গরম এসে বলে, কাঁথা সরাও। শীত বলে, কাঁথা নাও। অবশেষে মৌসুমি হিমেল বাতাস এসে বলল, এই গরম, যা ভাগ!
কাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই বাতাসে শীতের আমেজ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বলছে, তাদের হিসাবে মাত্র এক দিনের ব্যবধানে সারা দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গড়ে ১ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গেছে। এর সঙ্গে হালকা কুয়াশাও পড়েছে। ১৯ নভেম্বর দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজারহাটে ১৪ দশমিক ৫। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায়। আর রাজধানী ঢাকায় এটি ছিল ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ বুধবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা রাজধানী ঢাকায় ছিল ১৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তাপমাত্রা রকমফের নিয়ে আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, উচ্চচাপ বলয় বিস্তৃত রয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত। এ ছাড়া উত্তর–পশ্চিম দিক থেকে বাতাস দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। এসব কারণে তাপমাত্রা কমছে। আগামী কয়েক দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। তবে আপাতত শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। ডিসেম্বরের আগে তীব্রতা তেমন বাড়বে না।
এ দেশে আপাতত শীত তীব্র না হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু প্রতিবেশী ভারতের উত্তরাঞ্চলে শীত কিন্তু ভালোভাবেই কড়া নাড়তে শুরু করেছে। গতকাল দেশটির হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। বাংলাদেশের কাছের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মনিপুর, ত্রিপুরা, মেঘলয়ে কুয়াশার মাত্রা বেড়েছে।
ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস দিয়েছে, আগামী কয়েক দিন মধ্য ভারতের কিছু কিছু এলাকায় শীত বাড়তে পারে। এ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মনিপুর, ত্রিপুরা, মেঘালয়ে কুয়াশা পড়বে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ