স্বাস্থ্য ডেস্ক:
বর্তমানে ভাইরাস জ্বর দেখা দিয়েছে। এই জ্বর সাধারণত তীব্র হয় এবং অনেক সময় শরীরের তাপমাত্রা বিপদজনক পর্যায়ে চলে আসে। তবে জ্বর কোনও রোগ নয়- এটি শরীরে রোগ বা অসুস্থ অবস্থার একটি লক্ষণ মাত্র।
আমাদের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮ ডিগ্রী ফারেনহাইট। তাই তাপমাত্রা ১০৪-১০৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠে গেলে শীত অনুভব হয়। এটাকেই জ্বর বলে।
চিকিৎসকের ভাষায়, শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও উপরে উঠে গেলে, তা মস্তিষ্কের কোনও কোনও অংশকে স্থায়ীভাবে নষ্ট করে দিতে পারে বা এমন কি রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। শিশুর ক্ষেত্রে এই আশংকা বড়দের চেয়ে অনেক বেশী; কারণ, শিশুরা তাদের অসুস্থতার কথা প্রকাশ করতে পারে না এবং শিশুর মস্তিষ্ক তুলনা মূলকভাবে বেশী নরম ও সেনসেটিভ থাকে, যা অধীক তাপমাত্রায় খুব দ্রুত কার্যক্রম হারাতে পারে।
শিশুর জ্বরে কী করবেন?
* শিশুর জ্বর যে কারণেই হোক, কখনোই শরীরের তাপমাত্রা বেশী বাড়তে দেয়া যাবে না। বিশেষ করে ১০২- ১০৩ ডিগ্রী ফারেনহাইটের বেশী উঠতে দেয়া যাবে না।
* শিশুর যদি শীত লাগে, শীতে শিশু কুঁকড়ে যায় বা কাঁপতে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে তার জ্বর আরো বাড়ছে। এই অবস্থায়, পরিষ্কার সুতি পাতলা কাপড় স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে ভিজিয়ে শিশুর মাথা, কপাল, মুখ এবং হাত-পায়ের পাতা ভালো করে বার বার মুছে দিতে হবে।
* শিশুর কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসলেই শিশুকে মোটা লেপ বা কাঁথা-কম্বল দিয়ে জড়িয়ে রাখা ঠিক না। শিশুর আরামের জন্য হালকা কাঁথা বা কম্বল দিয়ে তাকে জড়িয়ে রাখা যেতে পারে।
চিকিৎসা :
শিশুর শরীরের কোনও অংশের প্যারালাইসিস না হলেও মস্তিষ্কের অনেক অংশের ক্ষতি হতে পারে, যা তাৎক্ষণিকভাবে হয়তো বোঝা যায় না। তবে শিশু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা পরিষ্কার হতে পারে; যেমন, শিশুর বুদ্ধিমত্তা, স্মৃতিশক্তি, দৃষ্টিশক্তি, শ্রবণশক্তি, ইত্যাদি কমে যাওয়া তবে চিন্তার কিছু নেই চিকিৎসাতো আছেই।
শিশুর জ্বর হলে বিষয়টিকে হালকা ভাবে না নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঘরে কিছু সাধারণ নিরাপদ ওষুধ (যেমন প্যারাসিটামল) রাখা উচিত। আর অবস্থা বেগতিক হলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়াই উত্তম।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ