নিজস্ব প্রতিবেদক:
বেগম খালেদা জিয়ার সামনে দলের সাংগঠনিক ত্রুটির বিষয়টি তুলে ধরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টারা। দেশের বিভিন্ন এলাকায় কমিটি না থাকা, অসম্পূর্ণ কমিটি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর থেমে থাকা কমিটির কার্যক্রম বন্ধ থাকার বিষয়টি চেয়ারপারসনের নজরে এনেছেন তারা। মঙ্গলবার রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বেগম খালেদা জিয়ার সামনে এসব বিষয় উত্থাপন করেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টারা। বৈঠক সূত্রের দাবি, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায়ের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তুলতে জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক নিবিড় করার নির্দেশ দিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া।
মঙ্গলবারের বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক উপদেষ্টা জানান, বৈঠকে প্রায় ১৫-২০ জন উপদেষ্টা আলোচনা করেছেন। তারা সাংগঠনিক দিক তুলে ধরার পাশাপাশি নির্বাচন নিয়েও নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করেন। এতে আগামী নির্বাচন কোনও দলীয় সরকারের অধীনে হবে না এবং শেখ হাসিনার অধীনে কোনও নির্বাচনে যাওয়া যাবে না; এ বিষয়ে একমত হন উপদেষ্টারা। সাবেক আইজিপি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল কাইয়ূম বলেন, ‘বৈঠকে সাংগঠনিক দিক উপজীব্য করেই আলোচনা হয়েছে।’
বৈঠক সূত্র জানায়, বেগম খালেদা জিয়া তার উপদেষ্টাদের দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন। যেখানে কমিটি নেই কিংবা স্থগিত আছে এমন এলাকাগুলোতে বেশি বেশি যাতায়াতের পরামর্শ দেন তিনি। গুলশানে তার কার্যালয়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শেষ হয় রাত পৌনে ১২টার দিকে। বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, ৭৬ সদস্যের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্যদের মধ্যে ৫৩ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হলেন- লুৎফর রহমান খান আজাদ, মেজর (অ.) কামরুল ইসলাম, সাবিহউদ্দিন আহমেদ, আমানউল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, উকিল আব্দুস সাত্তার, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, আনহ আখতার হোসেন, মাজেদুল ইসলাম, জয়নুল আবদিন ফারুক, জয়নাল আবেদিন ভিপি জয়নাল, মনিরুল হক চৌধুরী, সৈয়দ মেহেদি আহমেদ রুমি, এম এ কাইয়ুম, জহুরুল ইসলাম, ইসমাইল জবিউল্লাহ, আবদুর রশিদ, হায়দার আলী, জিয়াউর রহমান খান, তাজমেরী এস ইসলাম, শাহিদা রফিক, গোলাম আকবর খন্দকার, কাজী আসাদ, কবির মুরাদ, অধ্যাপক শাহজাহান মিয়া, একরামুজ্জামান, ফজলুর রহমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, আতাউর রহমান ঢালী, নজমুল হক নান্নু, তাহমিনা রুশদীর লুনা, এনামুল হক চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম, সুকোমল বড়ুয়া, বিজন কান্তি সরকার, আবদুল হক, কামরুল মুনির, বোরহান উদ্দিন, আবদুল বায়েছ ভুঁইয়া, আবদুস সালাম, শাহাজাদা মিয়া, এস এম ফজলুল হক, এম এ লতিফ, আবদুল কুদ্দুস, আবদুল মান্নান তালুকদার, ফরহাদ হালিম ডোনার, খন্দকার মুক্তাদির আহমেদ, মামুন আহমেদ, সৈয়দ শামসুল আলম, হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, মাহবুবুর রহমান, তৈমুর আলম খন্দকার প্রমুখ।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ