নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ফের শিশু চুরির অভিযোগ উঠেছে। মোছা. জিম নামে তিন মাস বয়সী এক শিশুকে গতকাল রাতে চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয়। এ নিয়ে ঢামেকে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এর আগেও ঢাকা মেডিকেল থেকে শিশু চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরি হয়ে যাওয়া শিশুর বাবার নাম জুয়েল মিয়া ও মায়ের নাম মাজেদা বেগম। তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানায়।
মাজেদার খালতো ভাই রাফসান জানান, অসুস্থ হওয়ায় গত ৩১ অক্টোবর জুয়েল মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবনের ৭০১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। জুয়েলকে দেখভালের জন্য শিশু সন্তান জিমকে নিয়ে হাসপাতালে থাকেন তার স্ত্রী।
সোমবার রাতে শিশু সন্তানকে মাঝে রেখে বাবা-মা ঘুমিয়ে পড়েন। রাত তিনটার দিকে মাজেদার ঘুম ভেঙে গেলে তিনি দেখেন তার মেয়ে নাই। তখন তিনি কান্নাকাটি করতে থাকেন। পরে অন্যান্য রোগী, রোগীর স্বজন ও হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও ছুটে আসেন। তবে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও জিমকে কোথাও পাওয়া যায়নি।
রাফসান আরও জানান, ঘটনার পরপরই বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। কে বা কারা শিশুটিকে নিয়ে গেছে তিনি তা বলতে পারেননি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই বাচ্চু মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি শুনেছি। শিশুটির সন্ধানে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
এর আগে ২০১৬ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেডিকেল থেকে খাদিজা আক্তার নামে সাড়ে তিন মাসের এক শিশু চুরির অভিযোগ উঠেছিল। এছাড়া ওই বছরের ৫ মার্চ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে দেড় বছরের শিশু আয়েশাকে চুরি করার সময় পপি আক্তার নামের এক নারীকে হাসপাতালের কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা আটক করেন।
তারও আগে ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ড থেকে অপরিচিত এক নারী যমজ দুই ছেলেসন্তানের একজনকে কান্না থামানোর কথা বলে কোলে নিয়ে পালিয়ে যান। পরে অবশ্য র্যাব হাসপাতালের সিসি ক্যামেরা থেকে পাওয়া ছবি সংগ্রহ করে চোরকে গ্রেপ্তার এবং শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করে। ২০১২ সালের ১৯ মার্চ একই হাসপাতাল থেকে হৃদয় নামের চার বছরের এক শিশুকে চুরি করার সময় নাদিম নামের এক যুবক হাতেনাতে ধরা পড়েন।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ