২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৩:০৭

কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনারের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজধানীর মালিবাগে বিয়ের প্রলোভনে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক কাস্টমস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। ওই কর্মকর্তার নাম সাইফুর রহমান। তিনি চট্টগ্রাম কাস্টমসে কর্মরত বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে গত শনিবার রাতে রমনা থানায় মামলা করেছেন। শারীরিক পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত চট্টগ্রাম কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার সাইফুর রহমান বলেন, দুই পক্ষের ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমনটি হয়েছে। আমরা পারিবারিকভাবে বসে এ সমস্যার সমাধান করব।
ভুক্তভোগীর মা বলেন, কয়েক মাস আগে পারিবারিকভাবে আমার মেয়েকে ঢাকার একটি রেস্তোরাঁয় দেখতে আসে ঢাকার কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার সাইফুর রহমান। দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়েও ঠিক হয়। সবকিছু ঠিকঠাক হওয়ায় আমার মেয়েকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে যেত। যেহেতু বিয়ে ঠিক তাই আমরাও তাদের ঘুরতে যেতে বাধা দেইনি। ঘুরতে নিয়ে গিয়ে সাইফুর আমার মেয়েকে যৌন নির্যাতন করেছে। তিনি বলেন, বিষয়টি জানার পর আমি ছেলের সঙ্গে কথা বলি। তখন সে নানা অজুহাতে বিয়ে করতে রাজি হয়নি। পরে থানায় মামলা করেছি। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর আমরা খোঁজখবর নিয়ে আরও জানতে পেরেছি, ওই ছেলে এভাবে আগেও একাধিক মেয়েকে বিয়ের ফাঁদে ফেলে যৌন নির্যাতন করেছে। সে যাতে আর কোনো মেয়ের জীবন নষ্ট করতে না পারে সেজন্য আমরা আইনি পদক্ষেপ নিয়েছি। রমনা থানার ওসি মাঈনুল ইসলাম বলেন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে যৌন নির্যাতন করেছে কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার। থানায় মামলা হয়েছে। ঢামেক হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা চলছে। পুলিশও গুরুত্বসহকারে তদন্ত শুরু করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সাইফুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে পড়াশোনা শেষে ২৯তম বিসিএসে কাস্টমস কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। সাইফুর রহমানের বয়স ৩৮ বছর হলেও এখনও বিয়ে করেননি। তিনি ভাড়াটে অভিভাবক মামা আবু তাহের চৌধুরী নামের এক ব্যক্তিকে নিয়ে সুন্দরী মেয়েদের পাত্রী হিসেবে দেখতেন। পারিবারিকভাবে বিয়ের কথাবার্তা চূড়ান্ত করে একপর্যায়ে মেয়েদের নিয়ে বাইরে শপিংয়ে যেতেন। নামি-দামি উপহার নিয়ে তারপর সর্বনাশ করতেন। তার বিরুদ্ধে এ ধরনের আরও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তবে মেয়ের পরিবারগুলো সামাজিক মর্যাদার ভয়ে মামলা করেননি।

দৈনিকদেশজনতা/ আই সি

প্রকাশ :নভেম্বর ২০, ২০১৭ ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ