২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৯:৪৪

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

রনজিৎ বর্মন (সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি:

রবিবার সকালে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আয়োজনে ১৯ নভেম্বর শ্যামনগর হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে র‌্যালী,আলোচনাসভা,সাংস্কৃতিক অনুষ্টান ও সন্তান কমান্ডের পরিচিতি অনুষ্টানের আয়োজন করা হয়।
বর্ণাঢ্য র‌্যালী শেষে উপজেলা পরিষদ চত্তরে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দেবী রঞ্জন মন্ডলের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজজামান,সাবেক এমপি এ কে ফজলুল হক,জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোশারাফ হোসেন,শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মান্নান আলী,দক্ষিণের মশালের সম্পাদক আশেক ই এলাহী,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আতাউল হক দোলন,বিশেষ পিপি ও শ্যামনগর ইউপি চেয়ারম্যান এড.জহুরুল হায়দার বাবু,মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবলু,সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান ডলার প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন ১৯৭১ সালের ১৯ আগষ্ট পাক বাহিনীর অর্তকিত আক্রমনে প্রাণ হারায় ৪ জন মুক্তিযোদ্ধা যথাক্রমে সুবেদার ইলিয়াস, আবুল কালাম আযাদ প্রমুখ। এ দিনে আরো কয়েক জন সাধারণ মানুষ প্রাণ হারায়। আকষ্মিক এ আক্রমণের বিরুদ্ধে মুক্তিবাহিনী প্রতিরোধ গড়ে তুললেও শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে নি। গেরিলা যুদ্ধের কেীশল হিসেবে মুক্তিযোদ্ধারা লে. মাহফুজ বেগের নেতৃত্বে শ্যামনগর সদর থেকে ক্যাম্প পিছিয়ে নেয়। আর এ দিন থেকে পাক বাহিনী স্থায়ীভাবে ঘাটি গাড়ে শ্যামনগরে। এ সময় থেকে টানা ৩ মাস পাকবাহিনী শ্যামনগর দখলে রাখে এবং এ সময়ে তাদের হাতে প্রাণ হারায় কয়েক জন নিরীহ বাঙালী।
টানা তিন মাসে পাক বাহিনী শ্যামনগর সদরে ৫/৬ বার মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে। তৎমধ্যে শ্যামনগর পাক হানাদার ঘাটিতে এক দিনে চারিদিক থেকে মুক্তিযোদ্ধারা এমবুশ করে এবং টানা ৩ ঘন্টা যুদ্ধের পর পাক সেনা ৪ জন নিহত হয়। এ সময়ের মধ্যে শ্যামনগরের কৈখালী, ভেটখালী, হরিনগর, রামজীবনপুর, গোপালপুর পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ হয়। কৈখালী ও হরিনগর এলাকায় নৌকমান্ড ও মুক্তিযোদ্ধা গেরিলা বাহিনী যৌথভাবে টানা তিন ঘন্টা ভয়াবহ যুদ্ধে অংশ নেয়।
শ্যামনগর বিভিন্ন এলাকায় পাকবাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে ও ১৮ নভেম্বর রাতের আঁধারে শ্যামনগর ত্যাগ করে। পর পরই মুক্তিযোদ্ধারা এসে শ্যামনগর দখল নেয়। এরপর স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করা হয়।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

 

প্রকাশ :নভেম্বর ১৯, ২০১৭ ৫:৪৪ অপরাহ্ণ