নিজস্ব প্রতিবেদক:
জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে আওয়ামী লীগকে ফের ক্ষমতায় যেতে দেয়া হবে না- এমন মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘সংসদ ভেঙে নির্বাচন দিতে হবে। বিএনপি আগামী একাদশ নির্বাচন করবে। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া খুব শিগগিরই নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেবেন। তখন আমরা সরকারের আচরণ দেখে প্রয়োজনে জনগণের কাছে যাব। কারণ জনগণ তাদের অধিকার আদায়ে রাস্তায় নামবে আর আমরা বিএনপি পাশে থাকব।’
রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি।
স্থায়ী কমিটির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘বর্তমানে দেশের সর্বক্ষেত্রে অন্যায়। রাষ্ট্রের প্রধান ৩টি স্তম্ভ বিচার বিভাগ, আইন বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগ ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। নিম্ন আদালতের মতো উচ্চ আদালতকে নিয়ন্ত্রণে নিতে সরকার উঠেপড়ে লেগেছে। উদ্দেশ্য বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জঙ্গল আইন প্রতিষ্ঠা করা।’
নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। এটা নির্বাচন কমিশন ও সরকারের জন্য অগ্নিপরীক্ষা। এখনই সকল রাজনৈতিক দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ব্যবস্থা করুন। সরকারপ্রধান ও মন্ত্রী-এমপিরা হেলিকপ্টার ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন আর আমরা ও বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া প্রায় প্রতি সপ্তাহে থাকবেন আদালতের বারান্দায়, তা হতে পারে না। ’
সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনমুখী দল। যতবার নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে ততবার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনার অধীনে কোনও নির্বাচনে যাবে না। কারণ, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। এর প্রমাণ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন।’
কেউ যদি মনে করে থাকেন আওয়ামী লীগ আজীবন ক্ষমতায় থাকবে তাহলে সে বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি নেতা দুদু।
শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নজমুল হক নান্নু, আতাউর রহমান ঢালী, নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদীর হোসেন জসিম, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইন, তাঁতী দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, কৃষক দলের সহ-সভাপতি এম এ তাহের, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় নেতা মাইনুল ইসলাম প্রমুখ।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ