নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাত মাস আগে স্বজন দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন এক বাক্প্রতিবন্ধী তরুণী (২০। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সন্তান জন্ম দিতে মারা গেছেন তিনি। তার আগে প্রসব করেছেন এক মৃত কন্যাশিশু।
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার রসুলপুর গ্রামে বাড়ি ওই তরুণীর। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়। পরিবারের সঙ্গে ঢাকার চকবাজারের কাজী রিয়াজউদ্দীন রোডের একটি বাসায় থাকতেন। পাশেই থাকতেন তাঁর ফুপা অভিযুক্ত শহিদ। একটি কারখানায় তিনি শ্রমিকের কাজ করতেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি এখন কারাগারে রয়েছেন।
তরুণীর বাবা বলেন, ঘটনাটি সাত মাস আগের। মেয়ে বাক্প্রতিবন্ধী হওয়ায় প্রথমে তাঁরা কেউই কিছু বুঝতে পারেননি। অন্তঃসত্ত্বার লক্ষণ দেখা দিলে তাঁরা বুঝতে পারেন কিছু একটা হয়েছে। পরে মেয়েটি জানান, ফুফা তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। এরপর আগস্ট মাসে চকবাজার থানায় তাঁরা মামলা করেন। তিনি বলেন, মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে আজ সকালে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোয়া ১১টার দিকে মেয়েটি একটি মৃত কন্যাশিশুর জন্ম দেন। ২ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়েটিও মারা যান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চকবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল হক জানান, মামলার পর থেকে মেয়েটি তাঁদের হেফাজতে ছিল। দোভাষীর মাধ্যমে তাঁর জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। কাউকে কিছু বললে মেরে ফেলবে—এই ভয় দেখিয়ে ফুপা তাঁর সঙ্গে যৌন সংসর্গ করেছিলেন বলে মেয়েটি জানিয়েছিলেন। অভিযুক্ত শহিদ কারাগারে রয়েছেন। মৃত বাচ্চার ডিএনএ সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ