মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে তার মরদেহ শহীদ মিনারে আনা হয়।
এ সময় কাজী আরিফের মরদেহের সামনে গার্ড অব অনার প্রদান করেন ঢাকা জেলার ম্যাজিস্ট্রেট রবীন্দ্র চাকমা। এরপর মরদেহে সর্বস্তরে মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তার দ্বিতীয় জানাজা হয়।
এর আগে পৌনে ৯টায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে কাজী আরিফের মরদেহবাহী বিমান রাজধানীর হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় আবৃত্তিশিল্পী কাজী আরিফকে মৃত ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের এক হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
গত ২৫ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে ওপেন হার্ট সার্জারি শেষে ২৭ এপ্রিল থেকে লাইফ সাপোর্টে থাকা এ আবৃত্তিশিল্পীকে শনিবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ক্লিনিক্যালি ডেড ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
কাজী আরিফ ১৯৫২ সালের ৩১ অক্টোবর তৎকালীন বৃহত্তর ফরিদপুরের রাজবাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার শিক্ষা ও বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম শহরে। উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটে।
পেশায় স্থপতি এই গুণী একাধারে আবৃত্তিশিল্পী, লেখক ও মুক্তিযুদ্ধ সংগঠক। ১৯৭১ সালে ১ নম্বর সেক্টর’ এর মেজর রফিকের কমান্ডে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের প্রতিষ্ঠাকালীন উদ্যোক্তাদের একজন তিনি। সারাদেশ ঘুরে আবৃত্তির প্রশিক্ষণ দিয়েছেন সংগঠনগুলোতে। প্রজ্ঞা লাবণী-কাজী আরিফ বাংলাদেশের প্রথম জনপ্রিয় হওয়া আবৃত্তিজুটি।