নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা মহানগরীর সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে এবারও সংলগ্ন ক্যাচমেন্ট এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের বিধান রাখা হয়েছে। আর অবশিষ্ট ৬০ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর মহানগরীর সব সরকারি বিদ্যালয়ের আওতাধীন ক্যাচমেন্ট এলাকা নির্ধারণ করে সবাইকে অবহিত করবে। গত বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করে শিক্ষামন্ত্রণালয়।
এবারও প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হবে লটারিতে। দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির জন্য হবে লিখিত পরীক্ষা। নবম শ্রেণির ক্ষেত্রে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট আসনের ১০ শতাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। আবেদন ফরমের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭০ টাকা।
২০১৮ শিক্ষাবর্ষে মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা সদরের সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন ও আবেদনের ফি গ্রহণ এবং ফল প্রক্রিয়াকরণ ও প্রকাশ অনলাইনে করা হবে। উপজেলা সদরে অবস্থিত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো কেন্দ্রীয় অনলাইন পদ্ধতির মাধ্যমে কার্যক্রম সম্পন্ন করবে। তবে নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কোনো কারণে কার্যক্রম সম্পন্ন করা না হলে, কেবল উপজেলার ক্ষেত্রে কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে তা ম্যানুয়ালি করবে।
মহানগর, বিভাগীয় শহর ও জেলা সদর ছাড়া অন্য সব বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ভর্তির ফরম অফিসে পাওয়া যাবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর বা জেলা প্রশাসক বা সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যাবে। ভর্তির আবেদন ফরম বিতরণ ও জমার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে সুস্পষ্ট তারিখ ও সময় উল্লেখ থাকবে। আবেদন ফরম বিতরণ ও জমার জন্য ন্যূনতম সাত দিন সময় দিতে হবে। আবেদন ফরমের নির্ধারিত স্থানে দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি আঠা দিয়ে সংযুক্ত করতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধা অথবা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং পাওয়া না গেলে পুত্র-কন্যার পুত্র-কন্যাদের ভর্তির জন্য পাঁচ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম যোগ্যতা থাকার শর্তে ভর্তির ক্ষেত্রে দুই শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তান এবং সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে কেবল সংশ্লিষ্ট কর্মস্থলে অবস্থিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে দুই শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারীর সহোদর বা সহোদররা বা জমজ ভাই-বোন যদি অধ্যয়নরত থাকে, তবে আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে ভর্তির ক্ষেত্রে অগ্রধিকার পাবে। তবে এ সুবিধা কোনো দম্পতির দুই সন্তানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
দ্বিতীয়-তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পূর্ণমান-৫০, এরমধ্যে বাংলা-১৫, ইংরেজি-১৫, গণিত-২০ নম্বর। ভর্তি পরীক্ষার সময় ১ ঘণ্টা। চতুর্থ-অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পূর্ণমান-১০০। এরমধ্যে বাংলা-৩০, ইংরেজি-৩০, গণিত-৪০ এবং ভর্তি পরীক্ষার সময় ২ ঘণ্টা।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি