আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গৃহবন্দি জিম্বাবুয়ে প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে পদত্যাগে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন| দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল কনস্টান্টিনো চিওয়েঙ্গার সঙ্গে বৈঠক তাই ফলপ্রসূ হয়নি। বৈঠকের পর কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, মুগাবে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়াতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
মুগাবের পর ক্ষমতাসীন জেডএএনইউ-পিএফ পার্টির নেতৃত্বে কে আসছে, তা নিয়ে দ্বন্দ্বের মধ্যেই বুধবার জিম্বাবুয়ের ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনাবাহিনী। তখন থেকেই গৃহবন্দী ৯৩ বছর বয়সী মুগাবে।
দোর্দণ্ড প্রতাপে আকস্মিক ছন্দপতনের পর আঞ্চলিক কিছু প্রতিনিধি ও সেনাপ্রধান জেনারেল কনস্টান্টিনো চিওয়েঙ্গার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে মুগাবের। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এক সময়কার বিপ্লবী নেতা ও ১৯৮৭ সাল থেকে জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট মুগাবের পদত্যাগ চেয়ে বক্তব্য দিয়েছেন বিরোধী দলের নেতা মরগান সভাঙ্গিরাই।
তার ভাষ্য, জনগণের স্বার্থেই মুগাবেকে দ্রুত সরে দাঁড়াতে হবে।
মুগাবের একচ্ছত্র আধিপত্যে থাকা জিম্বাবুয়েতে রাজনৈতিক সংকটের শুরুটা হয়েছিল গত সপ্তাহে। স্ত্রী গ্রেসকে ক্ষমতাসীন দলের নেতৃত্বে আনা ও পরে প্রেসিডেন্ট করার পথ সুগম করতে ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন ন্যাংগাগোয়াকে বরখাস্ত করেন মুগাবে। আর তাতেই চটে গিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে ক্ষমতার দখল নেয় সেনাবাহিনী।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর