নিজস্ব প্রতিবেদক:
৫২ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে খুলনা-কলকাতা রুটে বাণিজ্যিকভাবে ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ট্রেনের যাত্রা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১০ মিনিটে কলকাতা স্টেশন থেকে ট্রেনটি খুলনার উদ্দেশে রওনা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টায় ট্রেনটি খুলনায় পৌঁছলে রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাসহ খুলনার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ ট্রেন যাত্রীদের স্বাগত জানায়। পরে বেলা পৌনে দুইটার দিকে খুলনা স্টেশন থেকে কলকাতার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে বন্ধন এক্সপ্রেস।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা যাত্রী হয়ে খুলনা স্টেশন থেকে বাণিজ্যিকভাবে বন্ধন এক্সপ্রেসের যাত্রার উদ্বোধন করেন। এ ট্রেনে করে তিনি বেনাপোল পর্যন্ত যাত্রা করবেন। যাত্রার শুরুতে হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, ট্রেন চালুর মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ঘটবে। রোগী ও বৃদ্ধদের যাতায়াতে সুবিধা হবে। অসুস্থ ও বৃদ্ধদের ভিসা সহজ করা হবে। সরাসরি ট্রেন চালুর ফলে যাত্রীদের দুর্ভোগও অনেকটা কমবে। খুলনা রেলস্টেশনের মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার জানান, খুলনার পৌঁছার প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা পর ট্রেনটি কলকাতার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
এর আগে গত ৯ নভেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। সেদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ট্রেনের যাত্রা উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, পেট্টাপোল-বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে আগে খুলনা ও কলকাতার মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করত। এছাড়া রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ থেকেও ট্রেন যেত কলকাতায়। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এই রেল যোগাযোগ।
চলতি বছরের ৮ এপ্রিল খুলনা-কলকাতা রুটে মৈত্রী এক্সপ্রেস-২ পরীক্ষামূলক চলাচল করে। এরপর যাত্রীবাহী ‘বন্ধন’ এক্সপ্রেস বাণিজ্যিকভাবে চলাচল শুরুর কথা ছিল চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল। দ্বিতীয় দফায় ১ জুলাই ও তৃতীয় দফায় ৩ আগস্ট ট্রেনটি চালুর উদ্যোগ নিলেও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়নি।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ