আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পরিবেশ দূষণ মোকাবিলায় বিপুল অর্থ থাকলেও তার কিছুই খরচ করেননি দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার। উল্টো ভারতের রাজধানী দিল্লির দূষণের জন্য পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার দিকে আঙুল তুলছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কিন্তু নিজের তহবিলে পড়ে থাকা ৭৮৭ কোটি রুপিও যে দূষণ নিয়ন্ত্রণে কাজে লাগানো যায়, তা সম্ভবত মাথায়ই আসেনি আম আদমি সরকারের। তথ্যের অধিকার আইনের (আরটিআই) আওতায় জমা পড়া আবেদনের প্রেক্ষিতে এই তথ্য হঠাৎই সামনে এসেছে। এতেই বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছেন কেজরিওয়ালের সরকার।
পরিবেশ দূষণ মোকাবিলায় দিল্লিবাসীর কাছ থেকে সেস আদায় করে কেজরিওয়ালের সরকার। এই সেস বাবদ দুইবছরে কেজরিওয়ালের সরকার আদায় করেছে ৭৮৭ কোটি রুপিরও বেশি। কিন্তু দূষণ প্রতিরোধে খরচ হয়েছে মাত্র ৯৩ লাখ রুপির মতো, অর্থাৎ এক শতাংশেরও অনেক কম।
আরটিআই আবেদনের প্রেক্ষিতে এই তথ্য সামনে আসায় বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে কেজরিওয়ালের সরকার। দিল্লিতে ক্ষমতায় আসার আগে পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ অন্যতম প্রধান প্রতিশ্রুতি ছিল আম আদমি পার্টির। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল সে লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ বলেই এখন অনেকে মনে করছেন। ২০১৬ সালে দীপাবলির পরে দিল্লির আবহাওয়া যতটা দূষিত হয়েছিল, ততটা তার আগের ১০ বছরেও হয়নি। এ বছর দীপাবলির আগে দিল্লিতে বাজি বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। এতে গতবারের তুলনায় কিছুটা কমেছিল দীপাবলি পরবর্তী দূষণমাত্রা। কিন্তু চলতি মাসে আবহাওয়া কিছুটা ঠান্ডা হয়ে আসতেই ভয়াবহ ধোঁয়াশায় ঢেকে যায় গোটা দিল্লি।
ধোঁয়াশার হাত থেকে মুক্তি পেতে দিল্লিতে ট্র্যাফিক বিধিনিষেধ জারি করেছে কেজরিওয়ালের সরকার, বন্ধ রাখা হয়েছিল স্কুলও। রীতিমতো আপৎকালীন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল রাজধানী। কেজরিওয়াল এই পরিস্থিতির জন্য অনেকটাই দায়ী করেছিলেন পাঞ্জাব ও হরিয়ানাকে। ওই দুই রাজ্যে চাষের জমিতে ফসলের অবশিষ্টাংশ পুড়িয়ে দেওয়ার জেরে যে ধোঁয়া তৈরি হচ্ছে, সেই ধোঁয়াই দিল্লির আকাশে এসে জমছে বলে কেজরিওয়াল দাবি করেন। হরিয়ানা এবং পাঞ্জাবের সরকার দিল্লির সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করছে না বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ