নিজস্ব প্রতিবেদক:
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। একই সঙ্গে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি না মানলে আন্দোলনে যাওয়ার বিষয়েও একমত হয়েছেন জোটের শীর্ষ নেতারা।
নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জনমত গড়তে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ৮ বিভাগে জনসভা করারও সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে।
বুধবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হেয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
সূত্রটি জানায়, বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস আগে সংসদ ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়া দাবির পক্ষে জনমত গড়ে তুলবে ২০ দলীয় জোট।
এর মধ্যে যদি সরকার দাবি না মানে তাহলে রাজপথে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ারও আহবান জানান বেগম খালেদা জিয়া।
জানা গেছে, রংপুরসহ ৬ সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও যাবে বিএনপি জোট। রংপুরে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জোটের নেতারাও সফর করবেন।
এ ছাড়া ডিসেম্বরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২০ দলীয় জোট সমর্থিত আইনজীবীদের মহাসমাবেশে বেগম খালেদা জিয়া যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বিচার বিভাগের স্বাধীনতাসহ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার দাবিতে এই কর্মসূচি ডাকা হবে।
দেড়ঘণ্টাব্যাপী জোটের এ বৈঠকে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা সমস্যা ও নির্বাচনের বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।বেগম খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা আবদুল হালিম, খেলাফত মজলিশের আমির মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) আন্দালিব রহমান পার্থ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির ডা. রেদোয়ান আহমেদ, ইসলামী ঐক্যজোটের অ্যাডভোকেট এম এ রকীব, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) অধ্যাপিকা রেহানা প্রধান, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) খোন্দকার গোলাম মূর্তজা, ন্যাশনাল পিপলস পাটির্র ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান খাঁন, ন্যাপ-ভাসানী আজহারুল ইসলাম, ইসলামিক পার্টির আবু তাহের চৌধুরী, জমিয়তে উলামা ইসলামের মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, ডেমোক্রেটিক লীগ (ডিএল) সাইফুদ্দিন মনি উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ