প্রিয় শিক্ষার্থী, আজ তোমাদের জন্য প্রাথমিক বিজ্ঞান থেকে অধ্যায়ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করা হলো।
চতুর্থ অধ্যায়: বায়ু
সাধারণ কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন. অক্সিজেন কী কী কাজে ব্যবহার করা হয় সে সম্পর্কে ৫টি বাক্য লেখ।
উত্তর : অক্সিজেন নিম্নলিখিত কাজে ব্যবহার করা হয়_
১. মানুষ ও জীবজন্তু শ্বাসকার্যের জন্য অক্সিজেন ব্যবহার করে।
২. হাসপাতালে মুমূর্ষু রোগীর শ্বাসকার্যের জন্য অক্সিজেন ব্যবহৃত হয়।
৩. উঁচু পর্বতের আরোহীরা অক্সিজেন ব্যবহার করে।
৪. ডুবুরিদের সাগরের পানির নিচে অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়।
৫. আগুন জ্বালাতে অক্সিজেন ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্ন. নাইট্রোজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইডের ব্যবহার সম্পর্কে আলাদা ৩টি বাক্য লেখ।
উত্তর : নাইট্রোজেনের ব্যবহার_
১. ইউরিয়া সার প্রস্তুতিতে ব্যবহার করা হয়।
২. মাছ, মাংস, ফল, চিপস ইত্যাদি টিন বা প্যাকেটে সংরক্ষণ করতে ব্যবহার করা হয়।
কার্বন ডাইঅক্সাইডের ব্যবহার_
১. কোমল পানীয়তে ব্যবহার করা হয়।
২. অগি্ন নির্বাপকযন্ত্রে ব্যবহার করা হয়।
৩. ড্রাই আধান তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন. বায়ু দূষণ কী? বায়ু দূষণের ফলাফল সম্পর্কে ৪টি বাক্য লেখ।
উত্তর : বায়ুর স্বাভাবিক উপাদানের পরিবর্তন হলে আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বায়ুর স্বাভাবিক উপাদান পরিবর্তন হওয়াকে বায়ু দূষণ বলে।
বায়ু দূষণের ফলাফল নিচে দেয়া হলো_
১. বায়ুতে বিষাক্ত কার্বন মনোক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাবে।
২. পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে।
৩. শ্বাসকষ্টজনিত রোগ দেখা দেবে।
৪. এসিড বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে যাবে।
অধ্যায় ৫- পদার্থ ও শক্তি
যোগ্যতাভিত্তিক কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন. শক্তি কী? শক্তির রূপান্তরের উদাহরণ ৪টি বাক্যে ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : শক্তি হচ্ছে পরিবর্তনের সংঘটক বা এজেন্ট, যা সৃষ্টি বা ধ্বংস করা যায় না। এটি শুধু এক রূপ থেকে অন্য রূপে রূপান্তরিত হয়। নিচে উদাহরণসহ শক্তির রূপান্তরের ব্যাখ্যা দেয়া হলো_
১. বৈদ্যুতিক বাতিতে বিদ্যুৎ শক্তির তাপ ও আলোকে শক্তিতে রূপান্তর।
২. গাড়ি চালালে তেলের রাসায়নিক শক্তি প্রথমে রূপান্তরিত হয় তাপশক্তিতে, পরে এ তাপশক্তি রূপান্তরিত হয় গতিশক্তিতে।
৩. গাছের পাতা সূর্যের আলোকশক্তি শোষণ করে। এ আলোকশক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
৪. কাঠ বা কয়লা পোড়ালে তাপশক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তর হয়।
প্রশ্ন. শক্তির অপচয় বন্ধ প্রয়োজন কেন? ৫টি বাক্যে লেখ।
উত্তর : পৃথিবীতে শক্তির পরিমাণ নির্দিষ্ট বলে শক্তি নতুন করে সৃষ্টি করা যায় না কিংবা ধ্বংসও করা যায় না। তেল, কয়লা, গ্যাস আমরা খরচ করছি এবং তা ক্রমাগত ফুরিয়ে যাচ্ছে, এগুলো আমরা আর ফিরে পাব না। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া শক্তি খরচ করলে শক্তির অপচয় ঘটে। আর শক্তির অপচয় ঘটলে একসময় ব্যবহারযোগ্য শক্তি আমাদের কাছে থাকবে না। এজন্য শক্তির অপচয় রোধ করা একান্ত প্রয়োজন।