২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৯:০৭

আদালত স্থানান্তর হলো জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার

কোর্ট রিপোর্টার:

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলারও আদালত পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলাটি এখন বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ড. আক্তারুজ্জামানের আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত মঙ্গলবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাও একই আদালতের বিচারকের কাছে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এর ফলে এই বিচারকের অধীনে এখন এ দুটি মামলার কার্যক্রম চলবে বলে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া।

আজ বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ১৫ মে বিচারক পরিবর্তনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে তাঁর আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি করেন।

গত ১৩ এপ্রিল আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে এ আবেদন খারিজ হয়েছিল। সেই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেছেন বেগম খালেদা জিয়া।

আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা থেকে এর আগে বেগম খালেদা জিয়ার অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, দুদকের পক্ষের ৩২ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও আপিল বিভাগের নির্দেশে তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা শেষ হয়েছে। বর্তমানে মামলাটি বেগম খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের পর্যায়ে রয়েছে। আগামী ২৫ মে এ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি। জমির মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে বেগম খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ।

ওই মামলার অপর আসামিরা হলেন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

দৈনিক দেশজনতা/এমএইচ

প্রকাশ :মে ১৭, ২০১৭ ৩:৪৩ অপরাহ্ণ