নিজস্ব প্রতিবেদক:
হাতে ‘ওয়্যারলেস সেট’ নিয়ে প্রথমে সিএনজি-চালিত অটোরিকশা থামানোর সংকেত দিলেন এক ব্যক্তি। অটোরিকশা থামতেই ভেতরে থাকা এক ব্যক্তিকে ধরে মাইক্রোবাসে তুলে নিলেন তারা। পরে মারধর করে সঙ্গে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে আবার ছেড়ে দিলেন। এরকম অভিনব কায়দায় রাজধানীর মগবাজারে ঘটে গেল ছিনতাইয়ের এক ঘটনা।
গত পহেলা অক্টোবর রাত ৮টার দিকে মগবাজারে নির্মাণাধীন ইত্তেফাক ভবনের সামনে এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ থেকে ছিনতাইকারীদের একজনের ছবি পাওয়া গেলেও তার পরিচয় আজও জানা যায়নি। সেই ছিনতাইকারী গ্যাংয়ের তথ্য জানতে চেয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়েবসাইট ডিএমপি নিউজ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভুগী মোহাম্মদ রাশেদ মিয়া একটি বেসরকারী কলেজে কর্মরত। ঘটনার দিন রাত ৮টার দিকে তিনি অটোরিকশায় চড়ে আসছিলেন। রমনা মডেল থানাধীন মগবাজারে নির্মাণাধীন ইত্তেফাক ভবনের সামনে হাতিরঝিল রাস্তায় অটোরিকশাটি পৌঁছালে ছবিতে প্রদর্শিত ব্যক্তি ও তার অন্যান্য সহযোগীরা সেটি থামাতে সংকেত দেয়। এ সময় তাদের হাতে ওয়্যারলেস সেট ছিল বলে জানা যায়।
ভুক্তভুগী ব্যক্তি অটোরিকশা থেকে নামার পর দুই ছিনতাইকারী রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মাইক্রোবাসে ভিকটিমকে উঠায় এবং তার চোখ ও হাত বেঁধে ফেলে মারপিট করে। এক পর্যায়ে ভিকটিমের কাছ থেকে নগদ চার হাজার ৫০০ টাকা, দুইটি মোবাইল ফোনসেট এবং পিন নম্বরসহ এটিএম কার্ড নিয়ে যায়। পরে তদন্ত করে জানা যায়, ছবিতে প্রদর্শিত ব্যক্তি নয়াটোলা ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে ২৫ হাজার টাকা উত্তোলন করে। ব্যাংক হতে সংগৃহীত সিসি ক্যামেরা ফুটেজ ভিকটিমকে দেখালে সে প্রদর্শিত ব্যক্তিকে ছিনতাইকারীর একজন বলে শনাক্ত করে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

