নিজস্ব প্রতিবেদক:
নিখোঁজ হওয়ার পাঁচদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো হদিস মিলছে না নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোবাশ্বার হাসান সিজারের। উদ্বেগ আর উৎকন্ঠায় থাকা স্বজনদের মনোবেদনা সংবেদনশীল মানুষ মাত্রই বুঝতে সক্ষম হবেন। এটিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার সতীর্থ ও শিক্ষকরা আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাকে খুঁজে বের করতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।
সিজারের সন্ধানের দাবিতে রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক এবং বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা। সিজারের সন্ধান না মেলায় ক্ষোভ জানিয়ে বড় আন্দোলনের হুমকিও দিয়েছেন তারা। সমাবেশের সভাপতি অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন বলেন, “এই গুম আর বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।”
অধ্যাপক আলী রিয়াজের একটি গবেষণার বরাতে তিনি বলেন, গত কয়েক মাসে প্রতি ১০০ ঘণ্টায় একজন ব্যক্তি নিখোঁজ হন। সমাবেশে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মফিজুর রহমান বলেন, “কারও একার পক্ষে সিজারকে খুঁজে বের করা সম্ভব নয়। এই দায়িত্বটি রাষ্ট্রের।” অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, “এদেশে যুদ্ধাপরাধীর বিচার হয়েছে, জাতির জনকের হত্যার বিচার হয়েছে। মোবাশ্বার কী এমন অপরাধ করেছে যেটির বিচার হওয়া সম্ভব নয়, তাকে অগোচরে শেষ করে দেওয়া হবে।
“এভাবে কোনো নাগরিককে ধরে নেওয়া যায় না। এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মোবাশ্বারকে ফিরিয়ে না দিলে আরও বড় আন্দোলন করব আমরা। প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানাই, সিজারকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।” উল্লেখ, গত মঙ্গলবার থেকে তিনি নিখোঁজ ওই শিক্ষক। তার সন্ধানে থানায় জিডিও করেছে পরিবার। সিজারের ছোট বোন তামান্না তাসমিন ‘অতি দ্রুত’ সিজারকে ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান। পাশাপাশি ভিত্তিহীন প্রচার না চালাতে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তবে র্যাব-পুলিশ সিজারকে ধরে নেওয়ার কথা অস্বীকার করলেও সমাবেশে বক্তাদের অনেকের ইঙ্গিত করেন, সরকারি কোনো বাহিনীই তাকে আটক করেছে। সমাবেশে সঞ্চালনা করেন সাবেক সাংবাদিক শরিফুল হাসান।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ