আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাম রহিম জেলে যাওয়ার পর থেকেই ধুঁকছে ডেরা সাচ্চা সওদা। হরিয়ানার সিরসায় ৮০০ একর জমির উপর ২,১০০ কোটি টাকার ব্যবসাকে ক্রমশ গ্রাস করছে মন্দা। রাম রহিম জেলে যাওয়ার পর থেকে পড়তির দিকে ধর্মের কারবার। ২৫ আগস্ট জোড়া ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয় গুরমিত সিং। রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই উত্তর ভারতের একাংশ জুড়ে তাণ্ডব শুরু করে রাম রহিমের ভক্তরা। সংঘর্ষে প্রাণ হারান অন্তত ৪৫ জন। আহত হন তিনশোরও বেশি। এরপরই ডেরার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা রুজু করে পুলিশ। তারপরই আদালতের নির্দেশে ফ্রিজ (নিশ্চল) করা হয় ডেরার সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। এতেই চরম সংকটে পড়েন ডেরার বাসিন্দারা।
রাম রহিমের ডেরার মধ্যেই রয়েছে ভেষজ দ্রব্য, পানীয় জল, ব্যাটারি, ভোজ্যতেল ও আটা-ময়দা তৈরির কারখানা। এখন সে সব বন্ধ। ফাঁকা পড়ে রয়েছে সংলগ্ন সংবাদপত্রের দফতর, রিসোর্ট, শপিং মল, সিনেমা, পেট্রোল পাম্প, রেস্তোরাঁ ও হোটেল। এমনকি ডেরার রাস্তাতেও মানুষের দেখা নেই। ভারতের হরিয়ানা পুলিশ সূত্রের খবর, ডেরার ভিতর আগে যেখানে ১০,০০০ ভক্ত বাস করতেন, এখন সেই সংখ্যা নেমে এসেছে ৮০০-তে। দেশটির সিরসা পুলিশ জানিয়েছে, গত সপ্তাহে ডেরার প্রতিষ্ঠাতা শাহ মস্তানা বালোচিস্তানির জন্মজয়ন্তীতে কিছু ভক্তের জমায়েত হয়েছিল। তবে তার সংখ্যা নেহাতই কম। মেরে কেটে মাত্র ৪,০০০ ডেরার এক অনুগামী জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে চূড়ান্ত অর্থসংকটে ভুগছে সাচ্চা সওদা। কেউ ডেরার সম্পত্তি কিনতেও আসছে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
ডেরা সংলগ্ন এক দোকানদার জানিয়েছেন, আগে যেখানে দোকানে ভক্তের লাইন পড়ে যেত, এখন সেখানে মানুষ হাতে গোনা। শুধু তাই নয়, রাম রহিম গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তার বহু ঘনিষ্ঠ অনুগামী ফেরার। ডেরার দায়িত্ব নিতে রাজি নয় রাম রহিমের ছেলে জসমিত ইনসানও। ফলে নেতৃত্বের অভাবে সিদ্ধান্তহীনতায় ধুঁকছে সাচ্চা সওদা। ভারতের জিনিউজ পত্রিকার খবরে বলা হয়, অর্থভাবে ধুঁকছে ডেরার ভিতরের হাসপাতাল, স্কুল ও কলেজ। নিজেদের দৈনন্দিন খরচ চালানোর জন্য ইতিমধ্যেই পাঞ্জাব ও হরিয়ানা আদালতের কাছে নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে দ্বারস্থ হয়েছে শিক্ষার্থী ও রোগীরা।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি