স্পোর্টস ডেস্ক:
বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) কোচদের সবাই জাল। দেশের নাম করা এ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোচরা জাল সনদ ব্যবহার করে নিয়োগ নিয়ে লুটপাট করছেন। বুধবার বিকেএসপির ফুটবল, শ্যূটিং, আর্চারি, জুডো, বক্সিং, জিমন্যাস্টিকস ও বক্সিং বিভাগের ৭ জন কোচের নামে পৃথক ৭টি মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জানা গেছে, বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) চিফ কোচ (শ্যূটিং) সৈয়দ আসবাব আলীর বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, অসৎ উদ্দেশ্যে অন্যায়ভাবে লাভবান হওয়ার জন্য প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে বিএসসি পাশের জাল সনদপত্র তৈরি করে তা খাঁটি হিসেবে ব্যবহার করেছেন। এছাড়া বিকেএসপির কোচ (আর্চারি) মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে আলাদা আরো একটি মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধেও অসৎ উদ্দেশ্যে অন্যায়ভাবে লাভবান হওয়ার আশায় প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে বিএসএস (সম্মান) পাশের জাল সনদপত্র তৈরি করে তা খাঁটি হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে।
বিকেএসপির ফুটবল বিভাগের কোচ মোহাম্মদ মাকসুদুল আমিন (রানা) বিরুদ্ধেও অসৎ উদ্দেশ্যে অন্যায়ভাবে লাভবান হওয়ার আশায় প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে বিএ পাশের জাল সনদপত্র তৈরি করে তা খাঁটি হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুদক। এছাড়া বিকেএসপির জুডো কোচ মোঃ আবু বকর ছিদ্দিকের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে বিএ (অনার্স) পাশের জাল সনদপত্র তৈরি করে তা খাঁটি হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগে অপর আরো একটি মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বক্সিং কোচ মোঃ আবু সুফিয়ান চিশতীর বিরুদ্ধেও জাল সনদ তৈরির অভিযোগে মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে দুদক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে বিএ (সম্মান) পাশের জাল সনদপত্র তৈরি করে তা খাঁটি হিসেবে ব্যবহার করার।
জিমন্যাস্টিকস কোচ কাজী আকরাম আলীর বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে বিএসএস পাশের জাল সনদপত্র তৈরি করে তা খাঁটি হিসেবে ব্যবহার করার এবং বক্সিং কোচ মোঃ জহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে বিএসসি (সম্মান) পাশের জাল সনদপত্র তৈরি করে তা খাঁটি হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুদক।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ