নিজস্ব প্রতিবেদক:
শিক্ষাগত জাল সনদপত্র ব্যবহার করে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) চাকরি করার অভিযোগে সাত কোচের বিরুদ্ধে সাতটি পৃথক মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশর (দুদক)। বুধবার দুপুরে কমিশনের নির্ধারিত বৈঠকে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। শিগগিরই দুদকের পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।
দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, এই সাতজন কোচ হিসেবে বিকেএসপিতে যোগদানের সময় তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সর্বোচ্চ যে সনদ দাখিল করেছেন দুদকের অনুসন্ধানে সেগুলো জাল হিসেবে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। কমিশন ২০১৬ সালে তাদের বিরুদ্ধে জাল সনদপত্র ব্যবহারের অভিযোগটি অনুসন্ধান শুরু করে। এসব অভিযোগ অনুসন্ধান করেন দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
এ সাতজন হলেন- বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) চিফ কোচ (শ্যূটিং) সৈয়দ আসবাব আলী, কোচ (আরচ্যারি) মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, কোচ (ফুটবল) মোহাম্মদ মাকসুদুল আমিন (রানা), কোচ (জুডো) মো. আবু বকর ছিদ্দিক, কোচ (বক্সিং) মো. আবু সুফিয়ান চিশতী , কোচ (জিমন্যাস্টিকস) কাজী আকরাম আলী ও কোচ (বক্সিং) মো. জহির উদ্দিন।
দুদক সূত্র জানায়, এই সাত কোচের মধ্যে চিফ কোচ (শ্যূটিং) সৈয়দ আসবাব আলী চাকরির জন্য বিকেএসপিতে বিএসসি পাশের জাল সনদপত্র, কোচ (আরচ্যারি) মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বিএসএস (সম্মান) পাশের জাল সনদপত্র, কোচ (ফুটবল) মোহাম্মদ মাকসুদুল আমিন (রানা) বি.এ পাশের জাল সনদপত্র, কোচ (জুডো) মো. আবু বকর ছিদ্দিক বি.এ (অনার্স) পাশের জাল সনদপত্র, কোচ (বক্সিং) মো. আবু সুফিয়ান চিশতী বি.এ (সম্মান) পাশের জাল সনদপত্র, কোচ (জিমন্যাস্টিকস) কাজী আকরাম আলী বিএসএস পাশের জাল সনদপত্র ও কোচ ( বক্সিং) মো. জহির উদ্দিন বিএসসি (সম্মান) পাশের জাল সনদপত্র তৈরিপূর্বক সেটা বিকেএসপিতে জমা দিয়ে চাকরি করছেন।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর