২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৯:৪৩

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশের অনুমতির প্রতীক্ষায় বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আগামী রোববার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশের অনুমতির প্রতীক্ষায় বিএনপি। ইতোমধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রধান অতিথি হিসেবে সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছে দলটি।

বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই ঘোষণা দেন। এর আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশকে সফল করতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন এবং ঢাকার পার্শ্বর্বতী জেলাসমূহের নেতৃবৃন্দের এক যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সভাপতিত্ব করেন।

তিনি বলেন, ‘সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে এই সমাবেশটি আমরা করতে চাই। এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এখন পর্যন্ত আমরা সমাবেশের অনুমতি পাইনি। তবে আমরা আশা করছি, ১২ তারিখের জনসভার অনুমতি যথা সময়ে দেয়া হবে।’

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে সরকারের সহযোগিতা চেয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আশা করি যে, এই জনসভাটি অনুষ্ঠিত করবার জন্য সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন। কারণ তারা সব সময়ই বলে থাকেন যে, তারা কোনো বাধা দেন না, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন, মানুষের ও রাজনৈতিক দলগুলোর মত প্রকাশের স্বাধীনতায় তারা বিশ্বাস করেন।’

তিনি বলেন, ‘গতকাল তাদের (ক্ষমতাসীন দল) একজন নেতা বলেছেন যে, তারা বাধা দেননি এবং এই ধরনের সমাবেশে কোনো বাধা নেই। আমরা আশা করব যে, তাদের এই কথাগুলো যেন সত্য প্রমাণ হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আমরা ঠিকভাবে পালন করতে পারিনি। কারণ কমনওয়েথ পার্লামেন্টারি কনফারেন্সের কথা বলে আমাদেরকে অনুমতি দেয়া হয়নি। আমরা আশা করব যে, এই সমাবেশের অনুমতি যথা সময়ে দেবেন। আমাদের যে গণতান্ত্রিক অধিকার, সেই অধিকার প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে সরকারের কাছ থেকে আমরা সেই সহযোগিতা পাব।‘

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, সিনিয়ির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, হারুনুর রশীদ, কেন্দ্রীয় নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, আবদুস সালাম আজাদ, ঢাকা জেলার হাজী আবু আশফাক, মুন্সিগঞ্জের আবদুল হাই, কামরুজ্জামান রতন, টাঙ্গাইলের শামসুল আলম তোহা, মানিকগঞ্জের মইনুল ইসলাম শান্ত, গাজীপুরের ফজলুল হক মিলন, কাজী সাইয়্যেদুল আলম বাবুল, হাসানউদ্দিন সরকার, নরসিংদীর খায়রুল কবীর খোকন, নেসারউদ্দিন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে মহানগর দক্ষিণ কাজী আবুল বাশার, উত্তরের মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিউল বারী বাবু, যুব দলের মোরতাজুল করিম বাদরু, নুরুল ইসলাম নয়ন, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, জাসাস অধ্যাপক মামুন আহমেদ, হেলাল খান, মুক্তিযোদ্ধা দলের আবুল হাশেম, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, কৃষক দলের নাজিম উদ্দিন মাস্টার, উলামা দলের হাফেজ আবদুল মালেক, শাহ নেসারুল হক, ছাত্র দলের রাজীব আহসান, মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহতাব, তাঁতী দলের আবদুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :নভেম্বর ৮, ২০১৭ ২:৩৮ অপরাহ্ণ