স্পোর্টস ডেস্ক:
সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে হেরে শুরুটা হয়েছিল হতাশার। তবে এক ম্যাচ পরই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) জয় তুলে নিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। মঙ্গলবার দিনের প্রথম খেলায় কুমিল্লার প্রতিপক্ষি ছিল চিটাগং ভাইকিংস। মিসবাহ-উল-হকের নেতৃত্বাধীন দলটি কুমিল্লাকে কোন চ্যালেঞ্জই দিতে পারেনি। বরং ইনজুরি না সারায় নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবাল মাঠে নামতে না পারলেও মোহাম্মদ নবীর নেতৃত্বে জয়ের পথও পেল কুমিল্লা। এদিন ৮ উইকেটের জয় ২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়নদের।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে চিটাগংকে আগে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল কুমিল্লা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৩ রান করে চিটাগং ভাইকিংস। জবাব দিতে নেমে ১৭.২ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কুমিল্লা। লিটন দাস, জস বাটলার, ইমরুল কায়েস, মারলন স্যামুয়েলস, অলক কাপালিদের নিয়ে বেশ ভালো ব্যাটিং লাইনই বলতে হবে কুমিল্লার। ১৪৪ রান তাই দলটির জন্য কোন চ্যালেঞ্জ হওয়ার কথা নয়। তাছাড়া চিটাগংয়ে বোলিং লাইনেও ত্রাস সৃষ্টিকারি বোলার কোথায়। সানজামুল, শুভাষিশ, তাসকিন, সোহরাওয়াদীর সঙ্গে সিকান্দার রাজা ও লুইস রিস। তাদের খেলে ১৪৪ রানটা আসলে কষ্ট কর কিছু হয়নি। স্কোর বোর্ড থেকেই যা পরিস্কার।
উদ্বোধনী জুটিতে লিটন দাস ও জস বাটলার দলকে এনে দেন দারুণ শুরু। ৪.২ ওভারে ৪৩ রান করে এই জুটি। লিটন দাস ১৪ বলে ১ ছয় ও ৩ চারে ২৩ রান করেন। ভয়ঙ্কার হয়ে উঠা এই ডানহাতি আউট হয়েছেন শুভাশিষ রায়ের বলে। লিটন ফেরার পর বাটলারে সঙ্গে যোগ দেন ইমরুল কায়েস। দুজন মিলে দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করেন ৫৩ রান। ৪২ বলে ৪৮ রান করা বাটলারকেও ফিরিয়েছেন শুভাশিষ। ঠিক ১০০ রানে ২ উইকেটে পড়ার পর কুমিল্লার বাকী কাজটা সেরেছেন ইমরুল কায়েস ও স্যামুয়েলস। প্রথমজন ৩৩ ও পরের জন ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে আগে ব্যাট করতে দারুণ শুরু করেছিল চিটাগং ভাইকিংস। ৫ ওভারে ৫৪ রান তোলার পর ১০ ওভারে সংগ্রহ করে ১ উইকেটে ১০১। কিন্তু এরপরও ৭ উইকেটে ১৪৩ রানে থামতে হয় তাদের। আসল কৃতিত্বটা হালের তরুণ সেনসেশন সাইফ উদ্দিনের। শুরুতে ঝড় তুলে লুক রনকি ৪০ রানে ফিরে গিয়েছিলেন মোহাম্মদ নবীর বলে। ৩৩ বলে ৩৮ রান তুলে ফেলা সৌম্য সরকারকে ফিরিয়ে দলকে ম্যাচে ফেরান সাইফ উদ্দিন। সেই একই ওভারে ফেরান এনামুল হক বিজয়কেও। তাতে করে শুরুতে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেও বড় স্কোর গড়া হয় না চিটাগংয়ের।
কুমিল্লার পক্ষে সাইফ উদ্দিন সর্বোচ্চ ৩ উইকেটে নেন। ডোয়াইন ব্রাভো নিয়েছেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেটে নিয়েছেন আল-আমিন হোসেন ও মোহাম্মদ নবী। ম্যাচ সেরা হয়েছেন সাইফ উদ্দিন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
চিটাগং ভাইকিংস : ২০ ওভারে ১৪৩/৭ (লুক রনকি ৪০, সৌম্য সরকার ৩৮, দিলশান মুনাবিরা ২১, এনামুল হক বিজয় ৩, মিসবাহ-উল-হক ৬, লুইস রিস ৯, সিকান্দার রাজা ১৮*, সোহরাওয়ার্দী শুভ ৩, সানজামুল ইসলাম ১*; আল-আমিন ১/২৮, ব্রাভো ২/২৯, নবী ১/১৮, সাইফ ৩/২৪)।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স : ১৭.২ ওভারে ১৪৪/২ (লিটন ২৩, বাটলার ৪৮, ইমরুল ৩৩, স্যামুয়েলস ৩৫; শুভাশিষ ২/২৪)
ফল : কুমিল্লা ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : সাইফ উদ্দিন
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি