নিজস্ব প্রতিবেদক:
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় ১৯২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৬৩টিতে প্রধান শিক্ষক নেই। এসব প্রাথমিক বিদ্যালয় চলছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে। এতে করে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। এছাড়াও প্রধান শিক্ষকের অভাবে বিদ্যালয়গুলোর অনেক উন্নয়নমূলক কাজ থেমে রয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, পৌর এলাকায় একজন, উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নে দুজন, কাজীবাকাই ইউনিয়নে দুজন, ডাসার ইউনিয়নে দুজন, এনায়েতনগর ইউনিয়নে আটজন, পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নে চারজন, বালীগ্রাম ইউনিয়নে একজন, আলীনগর ইউনিয়নে চারজন, বাঁশগাড়ি ইউনিয়নে সাতজন, লক্ষিপুর ইউনিয়নে ১০ জন, নবগ্রাম ইউনিয়নে একজন, কয়ারিয়া ইউনিয়েনে ছয়জন, সাহেবরামপুর ইউনিয়নে পাঁচজন, শিকারমঙ্গল ইউনিয়নে চারজন, রমজানপুর ইউনিয়নে পাঁচজন ও চরদৌলত খান ইউনিয়নে একজনসহ মোট ৬৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্য রয়েছে প্রধান শিক্ষকের পদ।
প্রধান শিক্ষকের পদ শুন্য থাকায় এসব শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে বছরের পর বছর। এতে করে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। পাশাপাশি প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব বিদ্যালয়ে সঠিক নজরদারি অভাবে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান।
বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের ১৪৪নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এনামুল হক বলেন, তার বিদ্যালয়ে ১৮১ জন শিক্ষার্থীর জন্য প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক পাঁচটি পদ থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র তিনজন। প্রধান শিক্ষক শূন্য থাকায় এ বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক ও প্রশাসনিক কাজ করতে সারাদিন ব্যস্ত থাকতে হয় তাকে। তাই শিক্ষক স্বল্পতার কারণে প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়াও প্রধান শিক্ষকের অভাবে বিদ্যালয়গুলোর ভবন সংস্কার কার্যক্রম থেকে শুরু করে অনেক উন্নয়মুলক কর্মকাণ্ড থেমে রয়েছে।
আলীনগর ইউনিয়নের ২১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক বলেন, প্রধান শিক্ষক সংকটের কারণে বিদ্যালয়ের অনেক কাজ নিয়ে আমাদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। যেখানে শিক্ষক থাকার কথা সাতজন সেখানে আছেন পাঁচজন। শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে খুব সমস্যা হচ্ছে। সবমিলিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়ার মানও কমে যাচ্ছে বলে তাদের দাবি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রধান শিক্ষক শূন্য বিদ্যালয়গুলোতে সহকারী শিক্ষকরাই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দাপ্তরিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি প্রতিনিয়ত বিদ্যালয়ে পাঠদানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ