গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
খামার থেকে ১০ হাজার টাকা চুরির অপবাদে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ এক শিুশুকে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতনের শিকার ওই শিশু উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের রামভদ্র কদমতলা গ্রামের এক মুরগী খামারের কর্মচারী। তার নাম নয়ন (১২)। এ ঘটনায় শিশুটির মা নুরজাহান বেওয়ার বাদী হয়ে অভিযুক্ত খামার মালিক কবির হোসেনসহ তার তিন সহযোগীর নামে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আতিয়ার রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত বলেন, আসামিরা এখন পলাতক।
শিশু নয়নের মা নুরজাহান বেওয়ার জানান, বাবা মারা যাওয়ার পর সংসারে অভাব অনটনের কারণে ৫/৬ মাস আগে খামারে কাজ নেয় তার ছেলে। খামার থেকে ১০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে দাবি করে গত শনিবার সকাল থেকে দিনভর তার ছেলেকে আটকে রেখে জিঙ্গাসাবাদ করে খামারের মালিক কবির হোসেন। এরপর চুরির অপবাদে সন্ধ্যায় খামারের পেছনে একটি গাছের সাথে দু’হাত বেঁধে তার ছেলে নয়নকে মারপিট করে। এক পর্যায়ে শিশুটির ডানহাতের আঙ্গুলে পিন ঢুকিয়ে দেয় খামারের মালিক কবির ও তার লোকজন। তিনি আরো জানান, মারপিট করার পর কবির হোসেনের উঠানে নয়নকে ফেলে রাখা হয়। পরে তিনি অসুস্থ ছেলে নয়নকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইয়াকুব আলী মোড়ল বলেন, শিশুটির শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারাত্মক জখম ও গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এমন নির্যাতনের ফলে শিশুটি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তার চিকিৎসার জন্য সব ধরণের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। গতকাল রোববার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে নির্যাতিত শিশুটির চিকিৎসার খোঁজখবর নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম গোলাম কিবরিয়া। তিনি বলেন, শিশু নির্যাতনসহ সবধরণের নির্যাতনের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে। তিনি আইনগত সহায়তার আশ্বাস দেন। এ ব্যাপারে শিশুটির মা নুরজাহান বেওয়া বাদী হয়ে অভিযুক্ত কবির হোসেন, জহুরুল, রিপন ও আজিত মিয়াকে আসামী করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তিনি তার ছেলের উপর এমন অত্যাচার-নির্যাতনকারীদের শাস্তির দাবি জানান। সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমান বলেন, আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি