আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ব্রিটেনের গ্লাসগো নগর কাউন্সিল মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেতা অং সান সু চিকে দেয়া সম্মান প্রত্যাহার করে নেবার পক্ষে সর্বসম্মতভাবে ভোট দিয়েছে। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর হত্যা, নির্যাতনে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং এ ঘটনায় মিজ সুচির প্রতিক্রিয়ার প্রতিবাদ স্বরূপ ফ্রিডম অব সিটি খেতাব প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ২০০৯ সালে মিজ সুচি যখন মিয়ানমারে তার বাসভবনে অন্তরীন ছিলেন, তখন তাকে এই খেতাব দিয়েছিলো গ্লাসগো নগর কাউন্সিল।
গ্লাসগোর লর্ড প্রভোস্ট ইভা বোল্যান্ডার বলেছেন, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো নৃশংসতার ব্যপারে উদ্বেগ জানিয়ে, এবং সে ব্যপারে ব্যবস্থা নেবার আহ্বান জানিয়ে তিনি এবং নগরীর কাউন্সিলর মিজ সুচিকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। আমরা তার যে প্রতিক্রিয়া দেখেছি, তা হতাশাজনক এবং দুঃখের। খেতাব ফিরিয়ে নেবার ঘটনাকে তিনি নজিরবিহীন বলে বর্ণনা করেছেন।
এদিকে, গ্লাসগো ইউনিভার্সিটি থেকে মিজ সু চিকে দেয়া সম্মানজনক ডিগ্রী ফেরত নেবারও একটি দাবি উঠেছে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেটি হবার সম্ভাবনা খুবই কম।
মাত্র কয়েকদিন আগেই, রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইচ্ছাকৃতভাবে উদাসীনতা দেখানোর অভিযোগে ব্রিটেনের আরেক শহর শেফিল্ডও মিজ সু চিকে দেয়া ফ্রিডম অব সিটি খেতাব প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শেফিল্ডের কাউন্সিলর সোরাইয়া সিদ্দিকী বলেছেন, মিজ সুচিকে দেয়া সম্মানটি যদি আমরা চালিয়ে যাই, তাহলে আমাদের শহরের সুনাম প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে।
সেপ্টেম্বরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কলেজে ১৯৬৪ সাল থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত মিজ সুচি পড়েছেন, সেই সেন্ট হিউজ কলেজের কর্তৃপক্ষ তার একটি পোট্রেট নামিয়ে ফেলেছে। তার নোবেল পদক প্রত্যাহারের দাবিতে অনলাইনে এক পিটিশনে কয়েক লাখ মানুষ সই করেছে। যদিও নোবেল কর্তৃপক্ষ সে সম্ভাবনা নাকচ করেছেন।
আগস্টে নতুন করে রোহিঙ্গা সংকট শুরুর পর বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের রাখাইনে প্রথমবারের মত সফরে গিয়ে মিজ সু চি রোহিঙ্গাদের ঝগড়াবিবাদ না করে মিলেমিশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। আন্তর্জাতিকভাবে এজন্য তিনি ব্যাপক নিন্দার মুখে পড়েছেন।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ