ক্রীড়া প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পঞ্চম আসরের প্রথম ম্যাচেই অঘটনের জন্ম দিল এক আসর পর নতুনভাবে আসা সিলেট সিক্সার্স। গত আসরের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ঢাকা ডাইনামাইটসকে উড়িয়েই দিয়েছে তুলনামূলক দুর্বল সিলেট সিক্সার্স। ঢাকার দেয়া ১৩৭ রানের লক্ষ্যকে এক উইকেট হারিয়েই টপকে যায় তারা।
এদিকে এই আসরের প্রথম দুই হাফসেঞ্চুরিও তুলে নিলো স্বাগতিক সিলেট সিক্সার্স তাদের ঝুলিতে। ওপেনার উপুল থারাঙ্গা করেছেন ৪৮ বলে অপরাজিত ৬৯ আর ফ্লেচার করেছেন ৫১ বলে ৬৩ রান।
এদিকে তারকা নির্ভর ঢাকাকে প্রথমে টস জিতে ব্যাটিংয়ে পাঠায় সিলেট সিক্সার্স। কিন্তু এত তারকা কোনো কাজেই লাগলো না শেষ পর্যন্ত। একে একে সব তারকাই বিধ্বস্ত হন সিলেটের বোলারদের কাছে।
ঢাকার কফিনে প্রথম প্যরেকটি ঠুকেন এবারই প্রথম অধিনায়ক হিসেবে বিপিএলে নাম লেখানো নাসির হোসেন। শুন্য রানেই ফেরান মেহেদী মারুফকে। এরপর দ্বিতীয় উইকেটও তুলে নেন এই টাইগার অলরাউন্ডার।
ঢাকার পক্ষে কুমার সাঙ্গাকারা কিছুটা লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও ব্যক্তিগত ৩২ রানে তাকেও সাজঘরে ফেরান প্লাঙ্কেট। সাঙ্গাকারার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংসটি খেলেন ক্যারিবীয় হার্ড হিটার এভিন লুইস। তিনি ২৬ রান করে নাসিরের শিকার হন।
ঢাকার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও দলের জন্য খুব একটা কিছু করতে পারেননি। ব্যাট হাতে ২৩ রান করলেও বল হাতে কোন উইকেটের দেখা পাননি তিনি। উল্টো ৪ ওভার বল করে দিয়েছেন ২৩টি রান।
সিলেটের হয়ে নাসির ছাড়াও প্লাঙ্কেট ৪ ওভার বল করে ২০ রান দিয়ে ২টি এবং আবুল হাসান রাজু সমান ওভার করে ২৪ রান ২টি উইকেট তুলে নেন। আর ঢাকার মোসাদ্দেক হোসেন রান আউটের ফাঁদে পরেন।
১৩৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দুই ওপেনার থারাঙ্গা ও ফ্লেচার মিলে ১২৫ রানের জুটি গড়লে জয় থেকে অনেক দূরে ছিটকে যায় ঢাকা। ফ্লেচার ৬৩ রান করে সাজঘরে ফিরলেও সাব্বির রহমানকে (অপরাজিত ছিলেন ২ রানে) নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান থারাঙ্গা। ১৯ বল হাতে রেখেই জিতে যায় সিলেট।
ঢাকার হয়ে একমাত্র উইকেটটি পান আদিল রশিদ। আর কোন বোলারই সিলেটের বিপক্ষে ত্রাস ছড়াতে পারেননি।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ