৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১১:৩৮

কুড়িগ্রামের রৌমারী হাসপাতলে নানান সমস্যা রোগীরা হতাশায়

স্বাস্থ্য ডেস্ক:

কুড়িগ্রামের ব্রম্মপুত্র পুর্বপাড় চরাঞ্চল মঙ্গা পিড়িত, ভারতীয় আসাম সীমান্ত ঘেষা রৌমারী উপজেলায় প্রায় ৩ লক্ষ্য লোকের একমাত্র ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তার পদ শুন্য ও ডাক্তার স্বল্পতা, এ´-রে মেশিন নষ্ট, এম্বুলেন্স অচল, নার্স ও অন্যান্য জনবল কম। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দুর দুরান্ত থেকে আসা রোগীরা ডাক্তারসহ নানান সমস্যা পরিদর্শনে ডিডি রংপুর বিভাগ, রংপুর।

গতকাল ০৪ নভেম্বর ২০১৭ শনিবার সকাল ১১ টায় স্বাস্থ্য কমপ্লে´র নানান সমস্যায় জর্জরিত রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে´টির সেবাদান কর্মসূচী ভেঙ্গেপরা চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নের উপায় পরিদর্শনে আসা ডিভিশনাল ডাইরেক্টর স্বাস্থ্য রংপুর বিভাগ রংপুর ডাক্তার মোজাম্মেল হোসেন, অধ্যাপক (অবঃ) ডাক্তার ওমর আলী অধ্যক্ষ আইসিটি ইন্সিটিটিউট মহাখালী ঢাকা, ডাক্তার মাহফুজার রহমান মুকুল ইউসিএফপিও, ডাক্তার দেলোয়ার হোসেন টিএইচও রাজিবপুর। হাসপাতালের হলরুমে আলোচনা সভায় জানা যায়, উক্ত স্বাস্থ্য কমপ্লে´টিতে ১৩ জন ডাক্তারসহ বিভিন্ন ক্যাটাগড়ির মোট ৮৫টি পদ থাকলেও ৫১টি পদই শুন্য। তার মধ্যে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পদ ৪টি, মেডিক্যাল অফিসার ৭টি, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ১টি, জুনিঃগাইনী ১টি, ডেন্টাল সার্জন ১টি, জুনিঃ কনসালটেন্ট (এ্যানেসথিয়া) ১টি, ফার্মাসিস ১টি, রেডিওলজি ১টি, জুনিয়ার মেকানিক ১টি, নার্স ১৫টি, ল্যাবরেটরিয়ান ১টি, ওয়ার্ডবয় ১টি, সুইপার ৪টি, স্বাস্থ্য সহকারী মাঠ কর্মী সহ পদ শুন্য রয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তার শুন্যতায় স্বাস্থ্য কমপ্লে´টির সেবা দান কর্মসূচী চরম ভাবে বিঘিত হচ্ছে, অন্যদিকে বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজেও ব্যাঘাত ঘটছে। এছাড়াও স্বাস্থ্য কমপ্লে´টিতে দীর্ঘদিন থেকে এ´-রে মেশিন ও এম্বুলেন্স টি নষ্ট, মহিলা ও পুরুষ ওয়ার্ডে টয়েলেট গুলো নষ্ট, মান সম্মত খাবার নেই, পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নেই, ওয়ার্ড গুলোতে নোংরা পরিবেশ, শুধু নষ্ট আর নেই।

সরেজমিনে পরিদর্শকগণ হাসপাতালে ভর্তিরত রোগী কাজিমা খাতুন, শুকরানী, নাছিমা, আশরাফ আলী, মজর উদ্দিন, সামছুল আলম, আব্দুর রহিম সহ আরো অনেকে জানান, আমরা গরীব মানুষ, বাইরে থেকে ওষুধ পত্র কেনার সামর্থ নাই, এহেনে ভর্তি হছি, মাত্র ১বেলা করে একটি ডাক্তার এসে একটু দেখে যায়, আর সারাদিন পাইনা। শুনছি হাসপাতালে নাকি বড় ডাক্তার খুব কম। এহন চিকিৎসার অভাবে আমাগে মরন ছাড়া উপায় কি। আমাগো তো এতো টাহা পয়সা নাই আমরা বাইরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারবো নাকি, রোগীদের আর্তনাতের কাহিনি শুনেন। হাসপাতালের নানান সমস্যার বিষয়ে ডিডিকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, আমি সমস্যা গুলি জানলাম, যতদ্রæত পারি সমাধান করার চেষ্টা করবো। এবং পরিদর্শন শেষে হাসপাতাল হলরুমে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রন সপ্তাহ ২০১৭ উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে যোগদেন।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :নভেম্বর ৪, ২০১৭ ৬:৫৮ অপরাহ্ণ