আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের রাজধানী দিল্লির বিজ্ঞান ভবন চত্বর ও ইন্ডিয়া গেটে আয়োজিত এবারের খাদ্যোৎসব ‘ওয়ার্ল্ড ফুড-২০১৭’-য়ে জাতীয় খাবারের মর্যাদা পেতে চলেছে খিচুড়ি। এবারের উৎসবে অংশ নেবে সারা বিশ্বের ৫০টি দেশ। সঙ্গে ভারতের ২৮ রাজ্য হাজির থাকবে নিজের সেরা খাবারের স্টল নিয়ে। খাদ্য উৎসবে খিচুড়িকে ‘জাতীয় খাবার’ হিসেবে সম্মানিত করতে চলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ভোজ-মেলার আগে অবশ্য পশ্চিমবঙ্গ আরি উড়িশ্যাকে মৃদু সতর্ক করেছে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়। বহুদিন ধরেই দুই রাজ্যে রসগোল্লাকে নিজেদের বলে দাবি করছে। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, খাদ্য উৎসব চলাকালীন তারা যেন ‘রসগোল্লার আবিষ্কার’ নিয়ে কোনও বাড়াবাড়ি না করে। খাদ্য উৎসবে খিচুড়িকে দেখা হচ্ছে ‘সুপারফুড’ হিসেবে। কারণ এটি সহজপাচ্য, আমজনতার এই খাবারে আছে সমস্ত খাদ্যগুণ। তাই খিচুড়িই হবে ভারতের খাবারের ‘মুখ’।
ভারতে খিচুড়ির ইতিহাস বেশ পুরনো। অনেকের মতে, সংস্কৃত শব্দ ‘খিচ্চা’ থেকে ‘খিচুড়ি’ শব্দের আবির্ভাব। ভূ-পর্যটক ইবন বতুতা, এমনকী আলেকজান্ডারের সময়েও গ্রিক ইতিহাসবিদেরা দেখেছিলেন, ভারতীয়রা চাল ও ডাল মিশিয়ে খেতে পছন্দ করেন। যা সম্ভবত বর্তমান খিচুড়ির আদি রূপ।
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রণালয় জানায়, খিচুড়িকে গোটা বিশ্বে জনপ্রিয় করতে চায় তারা। জনতার খাবার ‘বার্গার-পাস্তা’ যদি বিশ্বজয় করতে পারে, তা হলে খিচুড়ি কেন নয়? এত দিন বিদেশিরা ভারতীয় খাবার মানেই ‘কারি’ বুঝতেন। এবার খাদ্য উৎসবে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা যাতে সেখানেই গরম গরম খিচুড়ি চেখে দেখতে পারেন, তার জন্য অনুষ্ঠানের দিন ৮০০ কেজি খিচুড়ি বানাবে কেন্দ্র।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ