সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি আবদুল হাকিম শিমুল হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান আসামি সাময়িক বহিষ্কৃত উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা কে এম নাছির উদ্দিনের হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।মঙ্গলবার সকালে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এ আদেশ দেন।
গত ১৩ এপ্রিল উচ্চ আদালত থেকে মিস কেসের (যার নং-১৩৮১৮/২০১৭) মাধ্যমে কে এম নাছির ৬ মাসের জন্য জামিন লাভ করেন।
বিচারপতি এ. কে. এম. আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিল তার জামিন মঞ্জুর করেন।
ওই জামিন আদেশ শাহজাদপুর আমলি আদালতে জমা দেওয়ার পর বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরে তা জেলা কারাগারে দাখিলও করা হয়। তবে কাস্টডি ওয়ারেন্টের তথ্যের সঙ্গে জামিনের আদেশপত্রের তথ্যে কিছুটা গরমিল থাকায় জামিন আদেশপত্রটি সংশোধনের জন্য তার আইনজীবীর মাধ্যমে ফেরত দেওয়া হয়। পরে ৩০ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষ জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল করেন। এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার চেম্বার বিচারপতি এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ, কাজী মোহাম্মদ মাহমুদুল করিম রতন ও মো. ইউনুস আলী।
উল্লেখ্য, গত ২ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে পৌর মেয়রের দুই ভাই মিন্টু ও পিন্টুর সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা বিজয়ের গণ্ডগোল বাধে। এরপর বিজয়কে তুলে নিয়ে মেয়রের বাড়িতে আটকে মারধর করে হাত ভেঙে দেওয়া হয়। এ নিয়ে নিজ দলের একটি পক্ষের সঙ্গে মিরু, মিন্টু, পিন্টু, নাছিরসহ মেয়রের সহযোগীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। ওই সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন, খবর সংগ্রহ ও ছবি তুলতে গিয়ে সাংবাদিক শিমুল গুলিবিদ্ধ হন। পরদিন বগুড়া থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় তার স্ত্রী নূরুন্নাহার বাদী হয়ে মেয়র মিরু ও তার সহোদর মিন্টু এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা নাছিরসহ জ্ঞাত ১৮ এবং অজ্ঞাত আরো প্রায় ২২ জনসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।