২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ১:২৭

যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

যৌতুকের দাবিতে নড়াইলের শাহাবাদ ইউনিয়নের দলজিতপুর গ্রামে গৃহবধূ সুমি সরকারকে (২৪) হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার স্বজনরা। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় নয় বছর আগে দলজিতপুর গ্রামের শ্যামল শীলের ছেলে গোবিন্দ শীলের সঙ্গে নড়াইল সদরের হবখালী ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা গ্রামের সুকুমার সরকারের মেয়ে সুমির বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে দীপ্ত (৭) নামে শিশু সন্তান রয়েছে।

সুমির ভাই উজ্জ্বল সরকার (২৬) জানান, বিয়ের পর থেকে গোবিন্দ প্রায়ই যৌতুকের দাবি করে আসছিলেন। এ কারণে সুমিকে প্রায়ই শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করতেন গোবিন্দ ও পরিবারের লোকজন। গোবিন্দ নড়াইলের রূপগঞ্জ বাজার কাপড়ের ব্যবসা করেন।

উজ্জ্বল বলেন, বোনের সংসারে সুখের কথা ভেবে গোবিন্দকে বিভিন্ন সময়ে স্বর্ণাংলকারসহ প্রায় পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দিয়েছি। তবুও সুমির ওপর নির্যাতন থেমে থাকেনি। এক পর্যায়ে গত রবিবার (২৯ অক্টোবর) যৌতুকের জন্য সুমিকে আবারো চাপ দেয় গোবিন্দ। আমাদের (বাবাবাড়ি) বাড়ি থেকে সুমি যৌতুক আনতে অপারগতা প্রকাশ করলে গোবিন্দ তাকে শারীরিক নির্যাতন করে। সুমি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার নাম করে নড়াইল শহরের নিশিনাথতলায় গোবিন্দের এক ভগ্নিপতির ভাড়াবাসায় নিয়ে আসে। সেখানে বিনা চিকিৎসায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুমি মারা যায়। পরে তাকে ঘরের মধ্যে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়।

সুমির বাবা সুকুমার সরকার বলেন, আমি গরিব মানুষ। মেয়ের সুখের কথা ভেবে গোবিন্দকে বিভিন্ন সময়ে পাঁচ লাখ টাকার যৌতুক দিয়েছি। তবুও, আমার মেয়ে হত্যা করা হলো। এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই।

এদিকে সুমির মৃত্যুর পর তার ভাই উজ্জ্বল, সুজল, বাবা সুকুমারসহ পরিবারের সদস্যরা গোবিন্দ শীলের বাড়িতে গেলে তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া নানা ধরণের ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :নভেম্বর ১, ২০১৭ ২:০৭ অপরাহ্ণ