২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ১২:৩২

শাহবাজপুর ক্ষেত্র থেকে পরীক্ষামূলক গ্যাস উত্তোলন শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের মুলাইপত্তন গ্রামের ‘শাহবাজপুর ইস্ট-১’ ক্ষেত্র থেকে পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টা থেকে বাপেক্স গ্যাস উত্তোলনের কাজ শুরু করেছে।এ সময় বাপেক্স- এর এমডিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। নতুন এই গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রায় ৭০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যেতে পারে বলে জানায় বাপেক্স।

শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. হাসানুজ্জামান বলেন, সকাল ১০টার দিকে নতুন ওই কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু করেছেন তারা। তখন গ্যাসের চাপ ছিল প্রায় পাঁচ হাজার পিএসআই। গত ২৩ অক্টোবর নতুন এ গ্যাস ক্ষেত্রটি আবিষ্কারের খবর জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

বাপেক্স কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন কূপে ৩৫৫০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত খনন চালিয়েছেন তারা। এর মধ্যে ৩৪০০ থেকে ৩৪৭০ মিটারের মধ্যে তিনটি স্তরে গ্যাসের অস্তিত্ব মিলেছে। ভোলার শাহবাজপুর ক্ষেত্র থেকে ২০০৯ সালের ১১ মে গ্যাস উত্তোলন শুরু করে বাপেক্স। সেখানে থাকা আগের চারটি কূপের মধ্যে তিনটি থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস তোলা হচ্ছে। শাহবাজপুরে মোট ৩৫ বিলিয়ন ঘনফুটের বেশি গ্যাস মজুদ রয়েছে বলে বাপেক্সের প্রকৌশলীদের ধারণা।

রাষ্ট্রায়ত্ব তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনের হিসাব অনুযায়ী, দেশের ২৬টি গ্যাস ক্ষেত্রে ২০১৬ সালে পহেলা জানুয়ারি পর্যন্ত প্রমাণিত গ্যাসের মজুদ ছিল ১৩ দশমিক ৬০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।

গ্যাস সঙ্কটের মধ্যে গত কয়েকবছরে নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে উত্তোলন বাড়িয়ে দৈনিক ২ হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুটে নিতে পেরেছে সরকার। কিন্তু সারা দেশে দৈনিক চাহিদা রয়েছে তিন হাজার ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের। বাপেক্স জানায়, ভোলার একমাত্র গ্যাসক্ষেত্র শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের চারটি কূপ থেকে প্রতিদিন প্রায় ৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব। কিন্তু বর্তমানে জেলায় চাহিদার বিপরীতে ৩৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :নভেম্বর ১, ২০১৭ ১২:৪৩ অপরাহ্ণ