২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৭:২৫

ভেদরগঞ্জ ৭ বাড়িতে ডাকাতি, গুলিবিদ্ধসহ আহত-৬

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাঁচিকাটা মরিচাকান্দি ও বানিয়ালঘাট এলাকায় স্পিড বোটযোগে এসে ৭টি বাড়িতে ডাকাতি করেছে ডাকাতরা। বাড়ির মানুষকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতরা প্রায় ১০ লাখ টাকাসহ স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। ঘটনার সময় ডাকাতের গুলিতে আহত এক কলেজ ছাত্রকে চাদঁপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অস্ত্রের আঘাতে আরো ৫ জন আহত হয়েছেন। ডাকাতির এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনা প্রসঙ্গে কাঁচিকাটা ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা রাজ হাওলাদার  জানান, ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাঁচিকাটা ইউনিয়নের মরিচাকান্দি ও বানিয়ালঘাট এলাকায় নদীতে স্পিডবোট যোগে ৭টি বাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত হয়।
মঙ্গলবার দিনগত রাতে সাড়ে ৩টায় ১০/১২ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল মরিচাকান্দির নুরুল হক হাওলাদার ও আমির বকাউলের বাড়িতে দরজা জানালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। ঘরে ঢুকে সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ১ লাখ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে।

পরে একে একে কাঁচিকাটার বনিয়াল এলাকার সাইজুদ্দিন মাঝি, হানিফ সরকার, কাসেম বেপারী, হামিদ ফকির, ইউনুস শেখ ও আজগর আলীর বাড়ি থেকে কয়েক লাখ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন নিয়ে নিয়ে যায়। তবে এলাকাবাসী ডাকাত দলের কাউকে চিনতে পারেনি।
ডাকাতদের গুলিতে সোহেল নামে এক কলেজ ছাত্র আহত হয়। আহত সোহেল(২৫) মরিচাকান্দি এলাকার আমির বকাউলের ছেলে। তাকে চাদঁপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার ডান পায়ে গুলি লেগেছে। এ ছাড়া ডাকাতের অস্ত্রের আঘাতে হুমায়ুন মোল্ল্যা, নুরূল ইসলাম বেপারী, সাজেদা বেগমসহ ৬ জন আহত হয়েছেন।

আহতদের হাকডাকে এলাকার মানুষ জানতে পারলে, ডাকাতরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ককটেল ও গুলির খোসা উদ্ধার করেছে সখিপুর থানা পুলিশ। প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত ডাকাতির এ ঘটনায় সখিপুর থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

ভুক্তভোগী আমির বকাউল বলেন, ডাকাতরা বাড়িতে এসে হামলা চালানোর সময় আমার স্ত্রী সাজেদা বেগম চিৎকার করার কারণে ডাকাতরা তাকে মারধর করে। তাদের কাছে রাম দা, ছেঁন দা, চাপাতি, ও পিস্তল ছিল। মুখোশে মুখ ঢাকা ওই ডাকাত দল স্টিলের আরমারি ভেঙ্গে ৬ ভরি স্বর্ণ, নগদ ২০ হাজার টাকাসহ সবার মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।
নুরুল হক বেপারীর স্ত্রী সাজেদা বেগম বলেন, ডাকাতরা আমাদের সব নিয়ে গেছে, আমরা শেষ হয়ে গেছি। অস্ত্র দেখিয়ে তারা আমাদের ২০ ভরি স্বর্ণ, নগদ চার লাখ টাকা ও মোবাইল ফোনগুলো নিয়ে গেছে।
ডাকাতি প্রসঙ্গে গোসারহাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার খায়রুল হাসান বলেন, ঘটনার পর আমাদের লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। ওই ডাকাতদের আটকে আমাদের অভিযান চলছে।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :নভেম্বর ১, ২০১৭ ১২:১৭ অপরাহ্ণ