নিজস্ব প্রতিবেদক:
আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান বন্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) চিঠি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই চিঠি প্রদানের বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের ওপর আজ ফের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে, গত ২৫ অক্টোবর আদালতের নিয়োগ করা অ্যামিকাস কিউরি (আাদলতের বন্ধু) অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগী ও অ্যাডভোকেট এএম আমিন উদ্দিন বক্তব্য উপস্থাপন করেন। পরে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আজ (৩১ অক্টোবর) দিন নির্ধারণ করেন আদালত।
এ ছাড়াও ওই দিন শুনানিতে ছিলেন দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান ও বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের পক্ষে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।
সাবেক বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের দুর্নীতির অনুসন্ধান বন্ধে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের দেয়া চিঠি কেন অবৈধ হবে না- তা জানতে চেয়ে গত ৯ অক্টোবর রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। ১০ দিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, দুদক চেয়ারম্যান, আপিল বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার এবং বিচারপতি জয়নুল আবেদীনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
গত ২৮ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার অরুণাভ চক্রবর্তীর স্বাক্ষরিত চিঠি দুদককে দেয়া হয়। ৯ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. বদিউজ্জামান তরফদার চিঠিটি নজরে আনলে আদালত এই রুল জারি করেন। জারি করা ওই রুলের ওপর গত ১৯ অক্টোবর থেকে শুনানি শুরু হয়।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের দুর্নীতির অনুসন্ধান বন্ধে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের দেয়া চিঠি নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। ওই চিঠির বরাত দিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের বিষয়ে অনুসন্ধানের স্বার্থে চলতি বছরের ২ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেয়ে চিঠি দেয় দুদক। এর জবাবে গত ২৮ এপ্রিল আপিল বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার অরুণাভ চক্রবর্তী স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দুদকে পাঠান সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
গত ৯ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের দেয়া ওই চিঠি এবং এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বদিউজ্জামান তফাদার।
এর পর ওই দিনই রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান না করতে সুপ্রিম কোর্টের চিঠি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- জানতে চাওয়া হয়।
এ ছাড়াও এই রুল শুনানির জন্য আদালতের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন, সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এএম আমিন উদ্দিন ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগীকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় রুলের ওপর শুনানি গ্রহণ করা হচ্ছে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ