নিজস্ব প্রতিবেদক:
শনিবার চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে ফেনী মোহাম্মদ আলী, স্টার লাইন পেট্রোল পাম্প, ফতেহপুর, মহিপাল, লালপুল, মুহুরীগঞ্জে হামলার নেতৃত্ব দানকারীরা স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ক্যাডার।
এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ফেনীর শর্শদী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনী রিয়েল, সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল মোতালেব রবিন, ফেনী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সদস্য সবুজ, শর্শদী মিললিয়া মাদ্রাসা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ, ধর্মপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও যুবলীগ নেতা বেলাল, শর্শদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানে আলম ভূঞার গানম্যান যুবলীগ কর্মী সুমন, ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য মানিক, কমিশনার কহিনুর, ব্যবসায়ী নেতা জিতু, আনন্দপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ, শর্শদি ইউনিয় যুবলীগ সম্পাদক মোঃ ফারুক, বালিগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগ সম্পাদক মোঃ বাবলু, ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন মহিনসহ আরো অনেক ক্যাডার।
এ ছাড়া ঘটনার সময় তোলা ছবি, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এবং রিয়েলের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকেও পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে রোববার স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, হামলার মূল দায়িত্বে ছিলেন শর্শদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানে আলম ভূঞা, ধর্মপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদত হোসেন সাকা, মোটবী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা হারুন উর রশিদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেন্টু, ডালিম, রবিনসহ আরো প্রায় ৫০/৬০ জন জেলা নেতারা নেতৃত্বে ছিলেন। আহত সাংবাদিকরাও ছবি দেখে হামলাকারী হিসেবে রিয়েল ও সুমনকে চিহ্নিত করেছেন। রোহিঙ্গাদের দেখতে শনিবার ঢাকা থেকে সড়কপথে কক্সবাজার যাওয়ার সময় ফেনীতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা কওে তারা।
রোববার সকালে ফেনী জেলা প্রশাসক মনোজ কুমার রায় সাংবাদিক বহরে হামলায় জড়িতদের শনাক্ত করতে শর্শদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানে আলম ভূঞাকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন বলে জানা গেছে। জানা গেছে, শনিবার সকাল থেকেই ক্যাডাররা শহরের বিভিন্নস্থানে অবস্থান নেয়। দুপুরে খাবার পর এদের মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে হামলার দায়িত্ব দেয়া হয়। হামলায় একাত্তর টিভি,
বৈশাখী টিভি, চ্যানেল আই ও ডিবিসি টিভির গাড়িসহ সাংবাদিক ও বিএনপি নেতাদের বহনকারী অর্ধশত গাড়ি ভাংচুর করে। ছাত্রলী-যুবলীগ ক্যাডারেরা আহত সাংবাদিকদের মারধরও করে। জেলা ছাত্র দলের সভাপতি নাঈমুল্লাহ চৌধুরী বলেন, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ ক্যাডাররা ফেনীর ফতেহপুর ও দেবীপুরসহ বিভিন্নস্থানে গাড়িবহরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে। এদেরকে ফেনীর লোকজন ভালো করে চেনে। এরা সবাই চিহ্নিত মুখ। সবাই জানে তারা ছাত্রলীগ-যুবলীগের ক্যাডার।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, এ নিয়ে কোনো অভিযোগ এখনও আমরা পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ