নিজস্ব প্রতিবেদক:
গণজাগরণ মঞ্চের মিছিল-সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে কটূক্তিমূলক বক্তব্য দেয়ার মামলায় সংস্থাটির মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকারের বিরুদ্ধে আবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম শেখ ছামিদুল ইসলাম বৃহস্পতিবার এ আসামি আদালতে হাজির না হওয়ায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
একই সঙ্গে মামলাটিতে আগামী ৪ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের দিন ঠিক করেছেন। এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন ইমরানের সহকর্মী আসামি সনাতন উল্লাস। এর আগে এই মামলায় একই কারণে গত ২০ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল আদালত। অবশ্য পরদিন তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ৩১ মে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা ও পাঠচত্র বিষয়ক সম্পাদক গোলাম রাব্বানী এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় বলা হয়, গত ২৮ মে রাজধানীর শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের সুপ্রিম কোর্ট থেকে ভাস্কর্য সরিয়ে নেয়ার প্রতিবাদে আয়োজিত এক সমাবেশে ‘ছি. ছি. হাসিনা, লজ্জায় বাঁচি না’ শিরোনামে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মানহানিকর শ্লোগান তুলে। যা প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের জন্য মানহানিকর। ওই সমাবেশে ইমরান এইচ সরকার এবং সনাতন উল্লাস নেতৃত্ব দেন।
যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ২০১৩ সালে শাহবাগে গণজাগরণের আন্দোলনের সূচনায় অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবে এর আহ্বায়কের দায়িত্ব নেন ইমরান। শুরুতে ছাত্রলীগ এই মঞ্চের সঙ্গে থাকলেও পরে সরে যায়।
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ভাস্কর্য অপসারণের প্রতিবাদে ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বে গণজাগরণ মঞ্চের মশাল মিছিল থেকে শেখ হাসিনাকে নিয়ে ওই শ্লোগান দেয়া হয়েছিল। শ্লোগানের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। গত ২৯ মে রাতে ছাত্রলীগের মিছিল থেকে শাহবাগে ইমরান সরকারকে অবাঞ্ছিতও ঘোষণা করা হয়। সমাবেশে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যেখানে ইমরান এইচ সরকার ও সনাতনকে দেখা হবে, সেখানেই কুত্তার মতো পেটানো হবে।’
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ