নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের শুনানি পিছিয়ে আগামী ২০ নভেম্বর পুনর্নির্ধারণ করেছেন আদালত। আজ বুধবার মামলাটিতে চার্জ শুনানির দিন ধার্য ছিল।
বেগম খালেদা জিয়া, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও এ কে এম মোশাররফ হোসেনের পক্ষে তা পেছাতে সময়ের আবেদন জানানো হয়। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া। অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল ওই তিন আসামির জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি এবং অভিযোগ গঠনের আবেদন জানান।
ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ মাহমুদুল কবীরের আদালত আসামিপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে চার্জ শুনানি পিছিয়ে দেন। মামলাটির ১১ আসামির মধ্যে কারাগারে আটক থাকা ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন আদালতে হাজির না হয়ে সময়ের আবেদন জানান।
কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ২০০৭ সালের ০৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
নাইকো ছাড়াও গ্যাটকো ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তা বাতিলের আবেদন জানিয়ে পৃথক পৃথক রিট করেছিলেন খালেদা জিয়া। এসব রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত ও রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
কয়েক বছর ধরে স্থগিত থাকার পর মামলাগুলো সচলের উদ্যোগ নিয়ে রুল নিষ্পত্তির আবেদন জানায় দুদক। পরে গত বছর পৃথক পৃথক শুনানি শেষে মামলা তিনটি সচলের রায় দেন হাইকোর্ট।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ