২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৯:২৪

এসিডে তরুণী ঝলসানোর মামলায় কবিরাজের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক:

এডিস নিক্ষেপ করে তরুণীর মুখ ঝলসানোর মামলায় সুজন হোসাইন নামে এক কবিরাজের ১২ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বুধবার ঢাকার এসিড অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) এসএম কুদ্দুস জামান আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি তার ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডিত আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

মামলায় বলা হয়, পাবনার নাজিরপুরের বাবুল প্রমাণিকের ছেলে সুজন হোসাইন পেশায় একজন কবিরাজ। বিভিন্ন তন্ত্রমন্ত্র দিয়ে চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার করায় নাজিরপুরে তাকে সবাই চেনে। মামলার বাদী সুজনের পূর্ব পরিচিত। বাদীর বাসা কিছু টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি হলে তা উদ্ধার করতে সুজনকে ডাকা হয়।

২০১৬ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সুজন তাদের বাড়ি গিয়ে একদিন থাকার পর আবার আসবে বলে চলে যায়। এরপর ওই সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ফিরে এসে মালামাল শনাক্তে বাদীর মেয়ে নাসিমা আক্তার প্রিয়াকে তার সাথে দিতে বলে। এরপর ২৮ সেপ্টেম্বর সে তাকে নিয়ে যায়। ওইদিন রাত পৌনে বারটায় আসামি সুজন ফোন করে জানায় মিরপুর চিড়িয়াখানায় কে যেন নাসিমাকে এসিড মেরেছে। সে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছে।

পরে আসামি সুজন বাদী হয়ে রাজধানীর শাহআলী থানায় একটি মামলা করে পালিয়ে যায়। এরপর তদন্তে সুজনের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খরা বাহিনী। পরে আদালতে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন। জবানবন্দিতে তিনি স্বীকার করে বলেন, ভিকটিম নাসিমার সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক ছিল। তার জন্য স্ত্রীও ডিভোর্স হয়ে যায়। ওই কারণেই সে এডিস নিক্ষেপ করে।

মামলাটিতে ২০১৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর রাজধানীর শাহআলী থানার ইন্সপেক্টর আব্দুর রশিদ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটির বিচারকালে ট্রাইব্যুনাল ১৩ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য নেন।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :অক্টোবর ২৫, ২০১৭ ১:৫২ অপরাহ্ণ