নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে ঢাকায় অবস্থিত দেশের প্রধান বিমানবন্দর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানের পাঁচস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়নও প্রকল্পের উদ্দেশ্য। অন্যদিকে যানজট নিরসনের জন্য ঢাকা-আশুলিয়া উড়াল সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে অর্থায়ন করবে চীন সরকার।
প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে সম্প্রসারণ ও ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প দুটিসহ ৫টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রকল্প অনুমোদনের বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান। অনুমোদিত ৫ প্রকল্পে ব্যয় হবে ৩৪ হাজার ৫৬৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। যার মধ্যে সরকারি ১২ হাজার ৪০২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সহায়তা ২২ হাজার ১৬৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।
জানা যায়, বাংলাদেশের এই বিমানবন্দরে প্রায় ১৭টি বিমান সংস্থার বিমান চলাচল করছে। এ বিষয়ে ৫২টি দেশের সাথে বাংলাদেশের দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এটার যাত্রী পরিবহনের বাৎসরিক সক্ষমতা ৮০ লাখ। চাহিদা বিবেচনায় এই বন্দরের অবকাঠামো পর্যাপ্ত নয়। এখানে আন্তর্জাতিকমানের পাঁচস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। এই প্রকল্পের মাধ্যমে এটি বাস্তবায়ন করা হবে। বর্তমানে টার্মিনালের যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ২০১৮ সালে পূর্ণ হয়ে যাবে। ২০২৫ সালে ১ কোটি ৪০ লাখ জন, ২০৩৫ সালে ২ কোটি ৪৮ লাখ জন যাত্রী বৃদ্ধি পাবে বলে সমীক্ষাতে বেরিয়ে এসেছে। এটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১৩ হাজার ৬১০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
আর ঢাকা-আশুলিয়া উড়ালসড়ক নির্মান ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৯০১ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এই প্রকল্পে চীন ১০ হাজার ৯৪৯ কোটি ৩২ লাখ টাকা ঋণ দিচ্ছে। এটি বাস্তবায়ন হলে ঢাকার সাথে ৩০টি জেলার সংযোগ স্থাপনকারী আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া-বাইপাইল-চন্দ্রা করিডোরে যানজট অনেকাংশে কমে যাবে। এই উড়ালসড়কের দৈর্ঘ্য ২৪ কিলোমিটার।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি