নিজস্ব প্রতিবেদক:
মিয়ানমার বিশ্বের ইতিহাসের বর্বরতম জাতি নিধন করেছে। রোহিঙ্গা মুসলিম জাতিকে মিয়ানমার থেকে নিধনের জন্য পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জর্ডানের রানী রানিয়া আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী জাস্টিস অব ল প্রতিষ্ঠিত হলেও মিয়ানমার কোনো কিছুই মানছে না।
মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধ এবং রোহিঙ্গাদের নিরাপদে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতে বিশ্ব নের্তৃবন্দের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে সোমবার দুপুরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জর্ডানের রানী এসব কথা বলেন।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে জর্ডানের রানী বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার ও এ দেশের জনগণ রোহিঙ্গাদের প্রতি যে মানবিকতা দেখিয়েছে তা বিশ্বের ইতিহাসে উদাহারণ হয়ে থাকবে।
এ সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহারিয়ার আলম, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, আশেক উল্লাহ রফিকসহ জর্ডান দূতাবাসের কর্মকর্তা ও দেশি-বিদেশি দাতা সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সোমবার সকাল ১১টায় জর্ডান থেকে বিমানযোগে ঢাকা হয়ে কক্সবাজার এসে পৌঁছান রানী রানিয়া। বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি কুতুপালংয়ে চলে যান।
রানী রানিয়া মিয়ানমার সেনাবাহিনর হামলার শিকার হয়ে জীবন বাঁচাতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুদের সাথে কথা বলেন। রোহিঙ্গারা রানীকে তাদের ওপর চালানো নির্মম অত্যাচারের কথা তুলে ধরেন। রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে তিনি কুতুপালংয়ে জাতিসংঘের যেসব সংস্থা রোহিঙ্গাদের সাহায্য করছে, তাদের হাসপাতাল ও স্কুল পরিদর্শন করেন। রানিয়া আল আবদুল্লাহ ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটির (আইআরসি) একজন বোর্ড সদস্য। তিনি জাতিসংঘেরও একাধিক মানবিক সংস্থার সদস্য।
এদিকে, রানি রানিয়ার রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনের জন্য কক্সবাজার ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের চলাফেরাও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এমনকি রানী রানিয়ার রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনের স্থলে সাংবাদিকদের যেতেও দেয়া হয়নি।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ