নিজস্ব প্রতিবেদক:
দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে বিষিয়ে উঠেছে রাজধানীবাসীর জনজীবন। বৃষ্টিতে ডুবে গেছে রাজধানীর নিচু এলাকা। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজধানীর সর্বস্তরের জনগণ। বৃষ্টিতে কাওরান বাজার, বনানী কাঁচাবাজার ও শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, হাতিরপুল, কাঠালবাগানসহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার হাঁটু পানিতে স্থবির হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির জমা পানি বাজার থেকে নামতে শুরু করলেও সবজির দাম নামেনি। পানি জমে যাওয়ায় অনেক বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বিক্রি বন্ধ রয়েছে। বৃষ্টির কারণে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই পড়েছেন বিপাকে। কোথাও কোথাও তরিতরকারি পচেও যাচ্ছে। ফলে বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমলেও টানা বৃষ্টির কারণে নতুন করে বেড়েছে। গত সপ্তাহে প্রতিকেজি বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৭৫-৮০ টাকায়। সেই বেগুনের প্রতিকেজি ১০০ টাকা হাঁকছেন বিক্রেতারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর কাওরান বাজার এলাকায় হাঁটু পানি জমে গেছে। কয়েকটি দোকান খোলা থাকলেও ক্রেতা নেই। ক্রেতা আসলেও দাম বেশি চাচ্ছেন বিক্রেতারা। রাজধানীর অন্য কাঁচাবাজারেরও একই অবস্থা। এসব বাজারে কয়েকটি দোকান খোলা থাকলেও প্রয়োজনের তুলনায় বাজারে সবজি কম। তাই দামও চড়া। প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি বরবটি ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০, ঢেঁড়স ৫৫, করলা ৬৫, পটোল ৫০, শশা ৫০ ও প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ২০-২৫ টাকায়। একইভাবে প্রতি কেজি দেশি পিয়াজ ৫০-৬০ টাকা, আমদানিকৃত পিয়াজ ৪৮-৫২, দেশি রসুন ৭০-৯০, আমদানিকৃত রসুন ৯০-১১০ ও প্রতি কেজি আদা বিক্রি হয়েছে ১০০-১৫০ টাকায়। প্রতি কেজি পেঁপে ২৫, টমেটো ১৪০, ধুন্দুল ৪০ ও মুলা বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায়। লাউ প্রতি পিস ৩০-৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০, লালশাক প্রতি আঁটি ৩০ টাকা, ডাঁটাশাক ৩০, কলমি শাক ২০, পুঁইশাক ৬০, পাটশাক ১৫ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হয়েছে।
এদিেক প্রতি কেজি রুই মাছ ২২০-৩০০ টাকা, কাতল মাছ ২৫০, শিং মাছ ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে সপ্তাহজুড়ে মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে মাংসের দাম। রাজধানীতে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৪৮০-৫০০ টাকার মধ্যে। এছাড়া প্রতি কেজি খাসি ৭০০-৭৫০, ব্রয়লার মুরগি ১২০-১৩০, দেশি মুরগি ৩৭০-৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি